Coronavirus in North Bengal

সংক্রমণ ১৬ জনের, বাজার নিয়ে ভাবনা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ০৫:১২
Share:

ঘিরে দেওয়া হয়েছে ক্ষুদিরাম কলোনি। নিজস্ব চিত্র

রবিবার শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে আরও ১৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে সংক্রমিত ৯ জনই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ী, আড়তদার, দুই শ্রমিকের করোনা সংক্রমণ মেলে। ইতিমধ্যে মাছ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ আগে থেকেই উঠেছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকা নিয়ে এ দিন দার্জিলিং জেলায় মোট ১৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রবিবার মাটিগাড়া ও শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে ৩৯ জনকে ছাড়া হয়েছে।

Advertisement

কিছুদিন আগে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক ফল বিক্রেতার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি নিয়ন্ত্রিত বাজারে যেতেন বলে সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে অনেকে মত দেন। নকশালবাড়িতে মাছ বিক্রেতা এক কিশোর সংক্রমিত হয়, নিয়ন্ত্রিত বাজারে তার যাতায়াত নিয়েও সন্দেহ দেখা দেয়। এরপর নিয়ন্ত্রিত বাজারের একাধিক জন সংক্রমিত হওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। গোটা বাজার বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে রিপোর্ট মেলে। এই নয়জনই নিয়ন্ত্রিত বাজারে যাতায়াতকারী আগে যারা সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলেই জানানো হয়।

এ দিন ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। তাঁরা সবাই প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমের কর্মী। এর আগে ওই নার্সিংহোমের অন্তত ৬ জন রোগীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। থিকনিকাটা এলাকার এক মহিলা এবং ফাঁসিদেওয়ার হাঁসখোয়া এলাকার এক মহিলার শরীরে সংক্রমণের রিপোর্ট মিলেছে। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-২ নম্বর পঞ্চায়েতের ক্ষুদিরামকলোনি এলাকার ৭ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পরেছে। ওই এলাকাটি প্রশাসনিক ভাবে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই এলাকার বাসিন্দা, শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের দর্জি এক ব্যক্তির সংক্রমণ মেলে। তাঁর স্ত্রীও সংক্রমিত হয়ছিলেন। যদিও তিনি এখন সুস্থ। শনিবার রাতে যে ৭ জনের সংক্রমণের খবর মেলে তাঁরা ওই পরিবারের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এলাকার প্রধান সুধা সিংহ জানান, এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ফাঁসিদেওয়ার লিম্বুটারি কোয়রান্টিন সেন্টারে কর্মরত যে স্বাস্থ্যকর্মী শনিবার মারা যান তাঁর পরিবারের তরফে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁর ভাইয়ের অভিযোগ, ‘‘ওই হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা মেলেনি। খাবারের মান ঠিক ছিল না। রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমন যেন কারও ক্ষেত্রে না হয় প্রশাসন দেখুক।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘পরিবারের লোক কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে করেননি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’’ এ দিন ফাঁসিদেওয়া ব্লক হাসপাতালে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুতে শোকসভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এবং জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অনেকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement