প্রতীকী ছবি
দক্ষিণ দিনাজপুরেও হানা দিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জেলায় ১৫ জন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন শিশু। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরে ওই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রক্ত পরীক্ষায় রোগ নির্ণয় হওয়ার পরে দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। তার জেরে প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছে। একাধিক রোগীকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটিও দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে জেলার বালুরঘাট ও তপন ব্লকে স্ক্রাব টাইফাসের প্রকোপ বেশি ছড়িয়েছে। তা ছাড়া হিলি, গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ ও বংশীহারি ব্লকেও এক-দু’জন করে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই রোগের বাহক পোকা সম্পর্কে কোনও ধারণা না থাকায় তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে হিলি ব্লকের জামালপুরের মথুরাপুর এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয় এক বছরের একটি শিশু। চিকিৎসার পরেও জ্বর কমছিল না। শিশুটির ঘাড়ে পোকার কামড়ের লাল দাগ দেখে চিকিৎসকের পরামর্শে বালুরঘাট হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাতেই ওই শিশুর স্ক্রাব টাইফাস ধরা পড়ে। তার বাবা প্রসেনজিৎ দাস জানান, হাসপাতালে চিকিসার পরে তাঁর ছেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছে। তবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পরে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হলেও এ নিয়ে এখনও পরিবারের লোকেরা চিন্তিত।
ওই এলাকার অনেক বাসিন্দাই বলেন, ‘‘ওই পোকা দেখতে কেমন, কী ভাবে পোকার কামড় থেকে বাঁচা যাবে— তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রচার করা উচিত।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বালুরঘাট জেলা ও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগীদের ‘স্ক্রাব টাইফাস’ রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে দ্রুত রোগ ধরা পড়ায় সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাও শুরু করা হচ্ছে। তাতে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের শরীরে ওই রোগের চিহ্ন মিললেও মৃত্যু এড়ানো গিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি ওই রোগ সম্পর্কে হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে বলেও জানান ওই স্বাস্থ্যকর্তা।