Coochbehar

রাতে যুব তৃণমূলের বৈঠকে আলো নিভিয়ে বোমাবাজি! কোচবিহারে গ্রেফতার ১২ জন শাসকদলের কর্মী

বুধবার রাতে কোচবিহার-১ ব্লকের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাইয়ের হাট এলাকায় ওই বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:০০
Share:

নিজস্ব চিত্র।

যুব তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল রাতে। সেই বৈঠক চলাকালীন আচমকাই এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ১২ জন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ধৃতদের সকলেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। বুধবার রাতে কোচবিহার-১ ব্লকের পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাইয়ের হাট এলাকায় ওই বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও গেরুয়া শিবিরের দাবি, বোমাবাজির নেপথ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।

Advertisement

বোমাবাজির ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘‘কয়েক জন দুষ্কৃতী বোলারো গাড়িতে করে এসে এলাকায় চকোলেট বোমা ফাটিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, দুই বিবদমান গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই গোষ্ঠীর মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ধাইয়ের হাট হাই মাদ্রাসা স্কুলের পাশের মাঠে একটি বৈঠকের আয়োজন করে যুব তৃণমূল। অভিযোগ, সেই সময়ে আলো নিভিয়ে বোমা ছোড়া হয় যুব নেতাদের উপর। যুব তৃণমূল এবং তৃণমূলের মধ্য দীর্ঘ দিনের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ছোট রহমান। তিনি দাবি করেন, ‘‘বোমাবাজির ঘটনায় বুধবার রাত ২টো নামাগদ পুলিশ আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

পানিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূলের সভাপতি রফিকুল মিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘যুব তৃণমূলের অঞ্চল কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর প্রতিটি বুথে সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা লাইট বন্ধ করে ব্যাপক বোমাবাজি করে। যুব তৃণমূল কর্মীরা অনেক কষ্টে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।’’ কী কারণে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন রফিকুল। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় পাল্টা বলেন, ‘‘যুব তৃণমূলের বৈঠকে তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। জেলা জুড়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। বিজেপি বোম বন্দুকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement