কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। —নিজস্ব চিত্র।
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কোচবিহারের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় তৃণমূলের ১২ জন সদস্যকে বহিষ্কার করা হল। বুধবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। তাঁর দাবি, দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যেরা মত পরিবর্তন করলে তাঁদের ফের দলে নেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, তৃণমূল পরিচালিত ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ২২ জন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য দু’মাস আগে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির
বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তৃণমূল পরিচালিত কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের জন্য কড়া বার্তা দেন জেলা তৃণমূলের পক্ষ। তবে গীতালদহ ১ এবং নাজিরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা অনাস্থা প্রত্যাহার করে নিলেও ওকড়াবাড়ির তৃণমূল সদস্যরা নিজেদের অনাস্থার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের নিয়েই তলবি সভা ডেকেছে প্রশাসন। তার আগে এই অনাস্থা ঠেকাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা করেন উদয়ন। তিনি বলেন, “আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা যদি তলবি সভায় না যান, সে ক্ষেত্রে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হবে। কিন্তু যদি তাঁরা তলবি সভায় গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারিত করেন, তা হলে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।” একই সঙ্গে যে সমস্ত মহিলা পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন, তাঁদের স্বামীকেও দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদয়ন।