Bunglow

হলংয়ের পর সিংটাম, পুড়ে ছাই হল ১০৪ বছর পুরনো দার্জিলিঙের কাঠের বাংলো! এ বারও কারণ শর্ট সার্কিট?

চলতি বছর দার্জিলিংয়ের ‘ন্যাশনাল রিসার্চ ফর অর্কিড’-এর বাংলোয় আগুন লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলোটি। তার আগে গত বছর জুন মাসে আলিপুরদুয়ারের ঐতিহাসিক হলং বাংলো কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৩৩
Share:

ভস্মীভূত সিংটাম বাংলো। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় ১০৪ বছরের পুরনো দার্জিলিং সংলগ্ন সিংটাম বাংলো ভস্মীভূত হল আগুনে। রবিবার রাতে সিংটাম চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। কী ভাবে আগুন লাগে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। অগ্নিকাণ্ডে অবশ্য হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। রবিবার রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের বাংলোটিও ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

চলতি বছর দার্জিলিংয়ের ‘ন্যাশনাল রিসার্চ ফর অর্কিড’-এর বাংলোয় আগুন লাগে। ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাংলোটি। তার আগে গত বছর জুন মাসে আলিপুরদুয়ারের ঐতিহাসিক হলং বাংলো কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা ছিল হলং বাংলো। কয়েক বছর আগে বাংলোটি সংস্কারও করা হয়েছিল। ২০১০ সালে জুন মাসে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত জয়ন্তী বনবাংলোও। বার বার এ রকম আগুন লাগার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে গত জুনে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডের পিছনে ইঁদুরকুলের কলকাঠি রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিলেন স্থানীয় বনকর্তারা। তাঁদের দাবি ছিল, কাঠের তিনতলা ওই বনবাংলোয় ইঁদুরের দৌরাত্ম্যেই শর্ট সার্কিট হয়। পরে ছয় সদস্যের কমিটি প্রায় চার সপ্তাহ ধরে অনুসন্ধানের পরে ইঁদুরের দিকেই আঙুল তোলে। সেই মর্মে রিপোর্টও জমা পড়েছে বলে বন দফতরের খবর।

Advertisement

তদন্তে উঠে আসে, বাংলোটি আদ্যন্ত কাঠের তৈরি। কাঠের দু’টি স্তরের মধ্যে যে ফাঁক, ইঁদুরের ঘরগেরস্থালি ছিল সেখানেই। বহু বার চেষ্টা সত্ত্বেও তাদের সেখান থেকে নির্মূল করা যায়নি। অনুমান, ইঁদুর বিদ্যুতের তার কেটে দেওয়ায় সেখান থেকেই বিপত্তি ঘটেছিল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্রমে দোতলায় একটি বাতানুকূল যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটার ফলেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement