100 days work

বিজেপি নেতা-কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় দল

নথি দেখে কার্যালয় থেকে বার হতেই তাঁদের ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের একাংশ।

Advertisement

গৌর আচার্য 

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ০৯:৪৬
Share:

নথি-সহ অভিযোগ জানানোর চেষ্টা বিজেপি নেতার। নিজস্ব চিত্র

এ বারে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির নেতা ও কর্মীদেরই ক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য।

Advertisement

একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ‘নথি’ খতিয়ে দেখতে রবিবার দুপুরে নলিন পাঠক ও বিজয়কুমার মিশ্র নামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে যান। নথি দেখে কার্যালয় থেকে বার হতেই তাঁদের ঘিরে ধরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের একাংশ। বিজেপির কিসান মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায়কে হাতে প্রচুর কাগজপত্র নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নলিন ও বিজয়ের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোনও মতে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়েন।

পরে নলিন দাবি করেন, “ওই পঞ্চায়েতে প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি।” এ দিকে, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি বাড়ছে। দলের জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

পরিতোষের অবশ্য দাবি, তাঁরা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। পরিতোষ বলেন, “২০২৮ থেকে ২০২১ তিনটি অর্থবর্ষে পঞ্চায়েতের ১৩টি বুথে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুর খনন, বাগান তৈরি-সহ সমস্ত কাজে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। ‘তথ্য জানার অধিকার’ আইনে হাতে পাওয়া নথি-সহ কেন্দ্রের দলকে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, ওঁরা কথা শোনেননি।’’ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান যমুনা বর্মণের অবশ্য পাল্টা দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ দিন নলিন ও বিজয়কুমার ওই পঞ্চায়েতের শুসিয়ার ও গুলগুলি মোড় এলাকায় ঘুরে একাধিক পুরুষ ও মহিলার একশো দিনের কাজের প্রকল্পে তৈরি মেহগনি ও কলাবাগান দেখেন। প্রত্যেকেই তাঁদের কাছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজের মজুরি না মেলার অভিযোগ জানান। শুসিয়ারের বাসিন্দা নন্দদুলাল তরফদার বলেন, “দেড় বছর আগে মেহগনি বাগান তৈরি করেছি। এখনও মজুরি পাইনি বলে কেন্দ্রীয় দলকে অভিযোগ জানিয়েছি।” নলিন ও বিজয়কুমার এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

রায়গঞ্জের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডলের দাবি, “গত এক বছর ধরে কেন্দ্রের তরফে প্রকল্পের কাজের বকেয়া মজুরির টাকা মিলছে না।” নলিন ও বিজয়কুমার এই বিষয়েও মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে শনিবার ইটাহারের পতিরাজপুর পঞ্চায়েতের শ্রীধরপুরেও দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্পের কাজের মজুরি না মেলার অভিযোগে বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়েন নলিন ও বিজয়কুমার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement