প্রতীকী চিত্র।
কোভিড সংক্রমণ পরীক্ষার সরকারি আরটি-পিসিআর কেন্দ্র পেতে চলেছে পাহাড়। কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নতুন ভাইরাল ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষার ছাড়পত্র দিল আইসিএমআর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ভুবনেশ্বর এমস-এর তরফেও এই ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে আইসিএমআর কর্তৃপক্ষকে এটি চালু করার কথা বলা হয়েছে। এর পরেই আইসিএমআর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে আজ, সোমবার ল্যাবরেটরিটি চালু হওয়ার কথা। টানা এক বছর ধরে চেষ্টার পর এই পরীক্ষা কেন্দ্রের সম্মতি মিলল।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫০টি করে দু’দফায় প্রতিদিন ৫০০টি নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়া হয়েছে এই ল্যাবরেটরিতে। এত দিন কালিম্পং থেকে ৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে শিলিগুড়িতে আনতে হত নমুনা। দার্জিলিং পাহাড়েও কোনও আরটিপিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। পাহাড়ের সব জায়গা থেকেই নমুনা শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসে। কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলা এ দিন বলেন, ‘‘কালিম্পং জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই ল্যাবরেটরি বড় একটি বিষয়। করোনা মোকাবিলায় আমরা আরও জোরদার ভাবে কাজ করতে পারব।’’
উত্তরবঙ্গে প্রথম সরকারি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। পাহাড় তো বটেই, সমগ্র উত্তরবঙ্গের সব জেলার নমুনা এখানেই আসত। তার পরে কোচবিহার, মালদহ এবং রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি চালু হয়। এর সঙ্গেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে এমন ল্যাবরেটরি তৈরি হয়। এর মধ্যেই কালিম্পঙের ল্যাবরেটরিটি চালুর অনুমোদন এল।
দু’বছর আগে এই কালিম্পং জেলাতেই উত্তরবঙ্গের প্রথম করোনা সংক্রমিত এক মহিলার খোঁজ মিলেছিল। তার পরে জেলায় সংক্রমণও ভাল সংখ্যায় ধরা পড়েছিল। এ বছর অবশ্য এখনও বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েনি কালিম্পঙে। গত শনিবার সংখ্যাটি ছিল ১৫। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন, এত দিন সন্দেহ হলে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নমুনা নিয়ে শিলিগুড়ি পাঠাতে হত। তাই অনেক সময় পরীক্ষাও কম হয়েছে। এ বার পরীক্ষার সংখ্যা নিশ্চয় বাড়বে। ফলে, কয়েক দিন পর কালিম্পঙের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, তা তখনই বোঝা যাবে।