রবিবার শিবসেনার পক্ষে সঞ্জয় জানান, অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন। ওই প্রস্তাব নিয়ে শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে —নিজস্ব চিত্র।
কিছু দিন আগেই দেশের সব অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ চেয়েছিলেন। এ বার সেই ডাকে সাড়া দিল শিবসেনা। মুম্বইয়ে খুব তাড়াতাড়ি অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হতে পারে বলে রবিবার জানিয়েছেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেছেন, সম্মেলনের আয়োজন করবে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ সকলকে একজোট হতে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। বার্তা ছিল, জাতীয় স্তরে বিরোধীদের একজোট হয়েই প্রতিবাদে নামতে হবে। শুধু অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরাই নন, মমতার আবেদন ছিল সব বিরোধী দলের নেতার কাছেও। লিখেছিলেন, ‘বিজেপি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত করছে। সকলের কাছে আমার আবেদন, নিজেদের সময়-সুযোগ মতো একসঙ্গে বসে আলোচনা হোক এবং কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হই।’ বিরোধী রাজ্যগুলিতে সিবিআই সক্রিয়তা, বিরোধীদের সম্মতি ছাড়া সংখ্যাধিক্যের জোরে একাধিক আইন সংশোধন করে নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মমতা।
রবিবার শিবসেনার পক্ষে সঞ্জয় জানান, অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন। ওই প্রস্তাব নিয়ে শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন।’ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এখনও অনেকটা সময় থাকলেও তার আগে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন রয়েছে। সেই দুই নির্বাচনে বিরোধীরা জোট বেঁধে প্রার্থী দিতে পারেন কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকের উদ্যোগ। শনিবারই দেশে উপনির্বাচন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য রাজ্যের আসনগুলিতে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরি করতেই শিবসেনার এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।