—প্রতীকী ছবি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে বেশ ভিড় ছিল বিডিও অফিসে। তার সুযোগ নিয়েই উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় সশরীরে প্রার্থী উপস্থিত না থাকলেও তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। বিদেশে থাকা সত্ত্বেও গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে তৃণমূলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই জেনেছেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা।
মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী মোহারউদ্দিন গাজি গিয়েছিলেন সৌদি আরবে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার আগেই তিনি দেশ ছাড়েন। বিদেশে থাকাকালীন তাঁর মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর ওই আসনে বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেও যান।
এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। এই ঘটনার তদন্ত সিআইডি-র হাতে দিয়েছে আদালত। তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মোহরউদ্দিনের মনোনয়নপত্র যাচাই না-করেই জমা নেওয়া হয়েছিল বিডিও-র তরফে। সম্প্রতি সিআইডি অফিসারদের একটি দল মিনাখাঁর বিডিও অফিসে যান। সেখানে বিডিও থেকে ওই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। মূলত তাঁদের কাছ থেকেই জানতে চাওয়া হয় ওই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রার্থী উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তা জমা নেওয়া হল। তাতেই সিআইডি জানতে পারে, মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময়ে ভিড় থাকায়, তা ঠিক মতো যাচাই করা হয়নি।
সোমবার দুপুরে এসএস সিআইডি (পশ্চিম) দেবর্ষি দত্তের নেতৃত্বে একটি দল মিনাখাঁয় পৌঁছে বিডিও অফিস থেকে মনোনয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করে। পরে দলটি যায় মিনাখাঁ থানায়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। সূত্রের খবর, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারাও রয়েছে ওই মামলায়। সিআইডির দলটি ওই মামলার নথি সংগ্রহ করেছেথানা থেকে।