রেশন কার্ডেও করা যাবে নমিনি। প্রতীকী ছবি
এ বার থেকে রেশন কার্ডের ক্ষেত্রেও নমিনি করা যাবে। সম্প্রতি খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি রেশন তুলতে না যেতে অপারগ হন, সঙ্গে তাঁর রেশন কার্ডের সঙ্গে আঁধার কার্ডের লিঙ্কও না করা থাকে, তা হলে সেই ব্যক্তিকে কোনওভাবেই রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাই নতুন এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দু’জন করে নমিনি করতে পারবেন। নমিনি হওয়া ব্যক্তিরা ওই ব্যক্তির বদলে রেশন তুলতে পারবেন। মূলত বয়স্ক ও শয্যাশায়ী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে বলেই দফতর সূত্রে খবর। আপাতত তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই পদক্ষেপে কাজ করবে খাদ্য দফতর।
বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি, দু’পাতার একটি নমিনি ফর্মও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ফর্ম মারফত আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে বেশকিছু শর্তও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে নমিনি করা হবে, তাঁদের যেন রেশন কার্ডের সঙ্গে আঁধার লিঙ্ক করা থাকে। আবার পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তিকে নমিনি করা হলে, তাঁর সঙ্গে নমিনি করা ব্যক্তির পরিবারের কোনও সদস্য সঙ্গে এলে রেশন দেওয়া হবে। পরিবারের সদস্য না এলে রেশন দেওয়া যাবে না। সঙ্গে যাঁকে নমিনি করা হবে, তিনি যেন সংশ্লিষ্ট রেশন দোকানের কার্ডধারী হন।
রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিশ্বম্ভর বসু অবশ্য খাদ্য দফতরের এই নতুন উদ্যোগকে জটিল পদক্ষেপ বলেই ব্যাখ্যা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘রেশন দোকান মারফত খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের প্রক্রিয়া সরল ও সোজা পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। কিন্তু খাদ্য দফতরের যে পদ্ধতি চালুর কথা বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে জটিলতা বাড়বে।’’
এ নিয়ে খাদ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘খাদ্য দফতর ইতিমধ্যে ৭১ শতাংশ মানুষের রেশন কার্ডের সঙ্গে আঁধার লিঙ্ক করে ফেলেছে। কিন্তু যাঁরা এখনও এই কাজ করতে পারেননি, তাঁরা যাতে রেশন থেকে বঞ্চিত না হন। সে কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’