কর্মকাণ্ড: জেলায় অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে গবেষণা করে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পরে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ বছর কয়েক আগে বীরভূমে কাজ করে গিয়েছেন।
এই মুহূর্তে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমআইটি-তে কর্মরত অভিজিৎ বিনায়ক। বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা লিভার ফাউন্ডেশনের একটি কাজে কী ধরণের প্রভাব সমাজে পড়ছে, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এমআইটির তরফে ২০১২ সালে তার সমীক্ষা চালানো হয়েছিল বীরভূমের তিনটি ব্লক ইলামবাজার, লাভপুর ও সাঁইথিয়ায়। নোবেল প্রাপ্তির খবরে সে কথা মনে পড়ে আপ্লুত লিভার ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক শৈবাল মজুমদার।
ডিগ্রিধারী চিকিৎসক না হলেও ‘গ্রামীণ চিকিৎসকেরাই’ গ্রামের স্বাস্থ্য পরিষেবার বড় আধার। তাই তাঁদের অস্বীকার করে, দূরে সরিয়ে না রেখে বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণ দিলে উন্নত হবে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবা। প্রশিক্ষণ থাকলে এক্তিয়ারের বাইরে না গিয়ে গ্রামীণ হাতুড়ে ‘চিকিৎসকেরা’ বরং কাজে লাগতে পারেন স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার। এই ভাবনা থেকে দশ বছর ধরে দফায় দফায় প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন হাজার গ্রামীণ হাতুড়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবক হিসেবে তৈরি করেছে লিভার ফাউন্ডেশন। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের অর্থ সাহায্যে এই কর্মসূচি কার্যকর করে তারা। কিন্ত, তাতে কী ধরণের সামাজিক ইমপ্যাক্ট হচ্ছে, সেটাই ছিল এমআইটির তরফে সমীক্ষার বিষয়। লিভার ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, রাজ্য সরকারের ইচ্ছেয় এ কাজ করেছিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর টিম। প্রায় এক বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্টের পরেই রাজ্যের অন্য জেলাও অ-ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। যাতে তাঁরা এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে না খেলেন। আবার সাধারণ মানুষও লাভবান হন।