‘ক্ষতি হবে পেনশনভোগীদের’

বিজ্ঞপ্তিতে নেই ডিআর প্রসঙ্গ, সরব বিরোধীরা

কর্মচারী সংগঠনগুলির ব্যাখ্যা, রীতি মেনে উপভোক্তার মূল্যসূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই) অনুযায়ী ডিএ বা ডিআর দিলে ২০১৬-র ১ জানুয়ারি তার পরিমাণ হত ১২৫ শতাংশ।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নয়া পেনশনের পরিমাণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই সরব বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তিতে ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর)-এর উল্লেখ না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবেন অবসরপ্রাপ্তেরা। ঠিক যেমন ভাবে রোপা ২০১৯-এ ডিএ-র উল্লেখ না থাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই প্রশ্নে ‘অস্বস্তি’-তে রয়েছে তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনও।

Advertisement

কর্মচারী সংগঠনগুলির ব্যাখ্যা, রীতি মেনে উপভোক্তার মূল্যসূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই) অনুযায়ী ডিএ বা ডিআর দিলে ২০১৬-র ১ জানুয়ারি তার পরিমাণ হত ১২৫ শতাংশ। সে জায়গায় ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি ১২৫ শতাংশ ডিএ বা ডিআর দেওয়া হয়েছে। সেই সময় তা হওয়া উচিত ছিল ১৫৪ শতাংশ। সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা গত জুলাইয়ে ৫ শতাংশ ডিএ পেয়েছেন। জানুয়ারিতে আরও এক কিস্তি ডিএ পাবেন। তখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের বেতনের ব্যবধান আরও বাড়বে। একই ঘটনা ঘটবে পেনশনের ক্ষেত্রেও। কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘নয়া বেতনে কেন্দ্রীয় সরকারের ১ নম্বর স্কেলের বেতন যখন ১৮ হাজার টাকা, তখন এ রাজ্যের ওই স্কেলের বেতন ৬৬০০ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্র ফের ডিএ ঘোষণা করলে এ রাজ্যের ডিএ এবং ডিআর হওয়া উচিত ছিল কমবেশি ১৮৫ শতাংশ।’’

কনফেডারেশনের হিসেব, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ন্যূনতম বেসিক পেনশন ৩৩০২ টাকা থেকে নতুন কাঠামোয় বেড়ে হবে ৮৫০০ টাকা। কিন্তু পুরনো বেসিক পেনশনের উপর রীতিমাফিক ডিআর পেলে নতুন বেসিক পেনশন আরও অন্তত ৯০০ টাকা বাড়ত। মলয়বাবুর কথায়, ‘‘অবসর নেওয়ার পরে কর্মীর আয় অর্ধেক হয়ে যায়। সেটা সরকারের মাথায় রাখা উচিত ছিল।’’ কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘ডিএ, ডিআর বা এরিয়ারের বিষয়টি সরকার এড়িয়ে গিয়েছে। এটা কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তদের প্রতি চূড়ান্ত বঞ্চনা। সরকার না বুঝলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’’ তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার অবস্থান স্পষ্ট না করায় আমরাও অন্ধকারে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement