কেজরীকে অভিনন্দন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিভাজনের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ মানুষ। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, দেশে ঘৃণার রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। বিজেপি শুরু থেকেই বিদ্বেষের রাজনীতি করে এসেছে। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দিল্লিতে অধিকাংশ আসনে এগিয়ে যায় অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি (আপ)। দুপুর ১২টা নাগাদ ৫০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে যায় তারা। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে দুপুরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লিতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। যেখানেই ভোট হচ্ছে, বিজেপি হারছে। বিদ্বেষের রাজনীতি করে বিজেপি। কিন্তু মানুষ বিভাজনের রাজনীতি চান না। তাঁদের কাছে ঘৃণার রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।’’
দিল্লিতে ভোটগণনা চলাকালীন কেজরীবালকে ফোন করেও মমতা অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে মমতা বলেন, এই জয় শুধুমাত্র আপের নয়, এটা মানুষের জয়। দিল্লিবাসীর এই সিদ্ধান্ত গোটা দেশের মানুষের চিন্তারই প্রতিফলন।
মমতার টুইট।
আরও পড়ুন: লাইভ: আপ শিবিরে উচ্ছ্বাসের ঢল, জয়ের পথে কেজরীরা
আরও পড়ুন: গেরুয়া ফাঁদে পা দিতে গিয়েও সামলে নিলেন কেজরী, টেনে কি ধরলেন পিকে?
এ দিন টুইটারেও কেজরীবালকে অভিনন্দন জানান মমতা। তিনি লেখেন, ‘‘ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ফের বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসছে আম আদমি পার্টি। অরবিন্দ কেজরীবালকে অভিনন্দন। ঘৃণা ভাষণের মাধ্যমে যাঁরা ধর্মের খেলা খেলছেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন তাঁদের শিক্ষা হওয়া উচিত। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেই পুরস্কার মেলে।’’
বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে কেজরীবাল অন্যতম। এর আগে কেন্দ্রের সঙ্গে কেজরী সরকারের সঙ্ঘাতের সময়, তাঁর হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। আবার কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার বিরুদ্ধে মমতা যখন মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন, তখন তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন কেজরীবাল। লোকসভা ভোটের আগে মমতার ডাকে কলকাতায় ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ হয়। সেখানেও কেজরীবাল এসেছিলেন।