জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে ভিন্ন ছবি দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার দুই প্রান্তে। হাবড়ায় বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের ছবি থাকলেও বঁনগায় রবিবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র বিজয়া কর্মসূচিতে কার্যত ‘ব্রাত্য’ তিনি। অনুষ্ঠান-স্থলে দেখা গেল না তাঁর কোনও ছবি। এমনকি, উপস্থিত অতিথিরাও তাঁর কথা মুখে আনেননি।
বনগাঁ শহরে নিউমার্কেট এলাকায় এ দিন আইএনটিটিইউসি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজয়া সম্মিলনী ছিল। মঞ্চ, তোরণ-সহ সর্বত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়ের ছবি ছিল। কিন্তু কোথাও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ছবি দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো চর্চাও হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, আইএনটিটিইউসি-র বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষেরা ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
জ্যোতিপ্রিয়ের ছবি না থাকা প্রসঙ্গে নারায়ণের বক্তব্য, ‘‘আগে বালুদা’র ছবি থাকতো, কারণ তিনি কর্মসূচিতে আসবেন বলে সম্মতি দিতেন। তা ছাড়া, তিনি তো আর এখন দলের জেলার দায়িত্বে নেই। এখন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তাই বালুদা’র ছবি লাগানো হয়নি।’’ বনমন্ত্রীর নাম সরাসরি না নিলেও বিশ্বজিৎ দাবি করেন, ‘‘দিল্লিতে আমরা গরিব মানুষদের ঘরের টাকা, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। সে কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপি আমাদের নেতৃত্বকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে মানুষের নজরকে ঘোরাতে চাইছে। লোকসভায় জিততে চাইছে। এতে কোনও কাজ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই মানুষ ভোট দেবেন।’’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মসূচিতে জ্যোতিপ্রিয়ের কোনও ছবি না থাকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলেরর বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘দেরিতে হলেও তৃণমূলের কিছুটা লজ্জা হয়েছে! ছবি না রেখে তৃণমূল প্রমাণ করে দিল, জ্যোতিপ্রিয় চোর!’’