—ফাইল চিত্র।
হাজারো নির্দেশ-নজরদারি সত্ত্বেও ট্রাকে বাড়তি পণ্য বহন বন্ধ হচ্ছে না। তাই ট্রাকে ‘ওভারলোডিং’ বন্ধে এ বার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সব ট্রাকমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যে ওভারলোডিং বন্ধ করতে জরিমানার হার অনেকটাই বাড়ছে বলে খবর। প্রথম বার এমন অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রতি টন ওভারলোডিংয়ে দু’হাজার টাকা অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হবে। দ্বিতীয় বার অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা দ্বিগুণ করার এবং তৃতীয় বার অপরাধের ক্ষেত্রে পারমিট বাতিলের সংস্থান রয়েছে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট আইনে।
একটি ট্রাক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত ওজন নিতে পারে— একে ‘সেফ অ্যাক্সেল লোড’ বলা হয়। সর্বভারতীয় এই বিধি এত দিন রাজ্যে মানা হচ্ছিল না। রাজ্যের নিয়ম ছিল, ট্রাক তার বহনক্ষমতা অনুযায়ী পণ্য তুলবে, অতিরিক্ত নিতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে সবাই অতিরিক্ত পণ্য বহন করে এবং সে-ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও আছে। এ বার রাজ্যের ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের নিয়ম মানা হবে বলে এ দিন ট্রাকমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের জানান পরিবহণমন্ত্রী।
এ দিন এই ধরনের অপরাধে ট্রাকচালক ছাড়াও ট্রাকমালিক এবং পণ্য বহনের বরাত দেওয়া সংস্থাকেও অভিযুক্ত করার দাবি জানায় ট্রাকমালিক সংগঠন। ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। মন্ত্রী ওভারলোডিং বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’’ পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাস্তা
ছাড়াও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিশেষত বালি এবং পাথরের ওভারলোডিং
নানা ধরনের পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করছে।’’