আর সময় নয় টাটাকে, ৭ দিনে ভাঙা হবে শেড

সিঙ্গুরের জমি থেকে শেড সরিয়ে নেওয়ার জন্য টাটাকে আর বেশি সময় দিতে রাজি নয় নবান্ন। প্রশাসন ঠিক করেছে, শেড-রাস্তা ভাঙা ও নয়ানজুলি-নর্দমা বোজানোর জন্য দিন সাতেক সময় দেওয়া হবে তাদের। এর মধ্যে তারা এগিয়ে না এলে সরকারই সব ভেঙে দেবে।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৫৬
Share:

সিঙ্গুরের জমি থেকে শেড সরিয়ে নেওয়ার জন্য টাটাকে আর বেশি সময় দিতে রাজি নয় নবান্ন। প্রশাসন ঠিক করেছে, শেড-রাস্তা ভাঙা ও নয়ানজুলি-নর্দমা বোজানোর জন্য দিন সাতেক সময় দেওয়া হবে তাদের। এর মধ্যে তারা এগিয়ে না এলে সরকারই সব ভেঙে দেবে। শুক্রবার ভূমি সংস্কার দফতর এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছে হুগলি জেলাশাসককে। এ-ও ঠিক হয়েছে, ভাঙার কাজে জেলা প্রশাসনকে সাহায্য করবে রাজ্যের পূর্ত দফতর এবং কলকাতা পুরসভা।

Advertisement

নবান্নের খবর, ভাঙার কাজের আগাম পরিকল্পনা করে রাখতে আজ, শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কারখানা চত্বরেই সকাল সাড়ে ১১টায় পুরসভা ও পূর্ত দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনসল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুর গিয়ে বিডিও অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে শেড খোলার বিষয়ে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ভূমি দফতর সূত্রে এ দিন দাবি করা হয়, শেড ভাঙার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই টাটাদের নোটিস দিয়েছেন হুগলির জেলাশাসক। তার আগে আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সেই পরামর্শ মেনে টাটাদের আলাদা করে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। শুধু তাদের উদ্দেশে কারখানার গেটে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবান্নের কর্তাদের একাংশ জানান, টাটারা যে কারখানার শেড খুলতে আসবে না, তা বেসরকারি ভাবে জানিয়েই দিয়েছে। তবু নিয়ম মেনে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এক কর্তার কথায়, ‘‘টাটারা শেড খুলে নিয়ে গেলে ভাল কথা। না হলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে জেলাশাসককেই শেড সরানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, মহালয়ার আগেই যাতে সিঙ্গুরের ৯৯৭.১১ একর জমি অনেকটাই চাষযোগ্য করে তোলা যায়, সেই চেষ্টা হচ্ছে।’’ ওই জমির মধ্যে আট একরের একটি জলাশয়কে সংস্কার করে ৩৮ একরের দিঘি তৈরি করেছিল টাটারা। সেই জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রায় ২০ কিলোমিটার পিচ রাস্তা উপড়ে ফেলা হবে। কিন্তু সেটা যে সহজ কাজ নয়, সেটা স্বীকার করছেন ভূমি দফতরের কর্তারা। তার উপর পুজোর সময় কাজের গতি কমবে। তাই মহালয়ার আগেই কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে চায় প্রশাসন।

শেড খোলা ও রাস্তা ভাঙার কাজে কলকাতা পুরসভার অভিজ্ঞতা থাকায় তাদের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পূর্ত দফতরও এই কাজে নামবে। ভাঙার কাজে বিপুল অর্থ খরচ হবে। এই টাকার ব্যবস্থা করার জন্য অর্থ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পুরসভাকে খরচের কথা না ভেবেই কাজে নামতে বলা হয়েছে। এক পুরকর্তার বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, শেড, রাস্তা তুলে সেই জমিকে চাষযোগ্য করাই এখন প্রশাসনের পাখির চোখ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement