তৃণমূলনেত্রী ক্ষমতায় আসার পরে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন— কোনও গণ্ডগোল নয়।
কিন্তু সে কথা শুনছে কে? মঙ্গলবার শান্তিপুর কলেজে ছাত্র পরিষদের দু’জন নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বিটন বিশ্বাস ও রোহন মল্লিক কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিট কমিটির সদস্য বিটনের অভিযোগ, বোমাবাজির পাশাপাশি কলেজে গুলিও চলেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বোমার আওয়াজ শুনে বাইরে ছুটে গিয়ে দেখি মাঠে কিছু ছেলে হইচই করছে। এরপরেই পুলিশে খবর দিই। কলেজের এমন পরিস্থিতে আমরা উদ্বিগ্ন।’’ জেলার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুলিশের দাবি, এ দিন কলেজে গণ্ডগোল হলেও গুলি চলেনি। বোমাবাজি হয়েছে কলেজের বাইরে।
ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক অর্ঘ্য গণ জানান, দীর্ঘ দিন এই কলেজে ছাত্র পরিষদের কোনও ইউনিট ছিল না। সোমবার সেই ইউনিট গঠন করা হয়। তারপরেই অধ্যক্ষের কাছে ছাত্র ভর্তির ব্যাপারে দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। শান্তিপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের অরিন্দম ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘আমাদের ছেলেরা দুর্নীতির প্রতিবাদ করতেই ভয় পেয়ে টিএমসিপি এমন হামলা করেছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি অয়ন দত্তের পাল্টা দাবি, ‘‘বিটনরা তো সমাজবিরোধী বলেই জানি। বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ওরা বোমা-বন্দুক নিয়ে কলেজ দখল করতে চাইছে।’’তবে শান্তিপুর কলেজের গোলমালে বিব্রত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কোনও কলেজে বিশৃঙ্খলায় টিএমসিপির নাম জড়ালে, তা আর বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কোন কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া ঘিরে গোলমালে টিএমসিপি জড়িয়েছে, সে ব্যাপারেও তিনি রিপোর্ট চেয়েছেন ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তের কাছেও। পার্থবাবু বলেন, ‘‘টিএমসিপি যাতে কোনও কলেজেই বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে না পড়ে, সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’