প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি অনেকটাই পূরণ করলেও কিছু এখনও অপূর্ণ রয়েছে। সেই সব দাবি-সহ শিক্ষকদের কর্তব্য, দায়িত্ব এবং তাঁদের পড়ানোর পদ্ধতি কী হবে, সে সব নিয়ে রবিবাসরীয় দুপুরে আলোচনা হয়ে গেল নিখিলবঙ্গ রাজ্য সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সভায়।
আশুতোষ কলেজে অনুষ্ঠিত এই সভায় নিখিলবঙ্গ রাজ্য সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত রায় কর্মকার বলেন, ‘‘দূরের কলেজগুলিতে শিক্ষক ও ছাত্রদের আবাসনের বিষয়ে সরকার দৃষ্টি দিলে ভাল হয়। সেই সঙ্গে বেতনের আংশিক বকেয়া পূরণেরও দাবি জানাচ্ছি।’’ অনুষ্ঠানে ছিলেন বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষক এবং রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরাও।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা আগের থেকে অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। শিক্ষকদেরও তাই আরও দায়বদ্ধ থাকতে হবে।’’ একই কথার সুর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহার কথায়। তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে রাজ্যে অনেকগুলি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। শিক্ষার প্রসারও ঘটছে। সরকারি কলেজের শিক্ষকদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে। সেই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল রেখে কলেজে পঠনপাঠনের পরিবেশও যেন বজায় থাকে, সেই দিকে নজর রাখতে হবে।’’
এ দিনের আলোচনায় প্রযুক্তির সাহায্যে পঠনপাঠনের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন ম্যাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। তিনি বলেন, ‘‘পড়ানোর পদ্ধতি বদলেছে। নোটবই দেখে পড়ানো নয়, বরং এখন পড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকেরা ক্লাসে পড়ালে ছাত্রছাত্রীরা আরও উৎসাহিত হন।’’