NICED

নিশ্চিত নয় নাইসেড, লালারস গেল পুণেতে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে জানান, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কারও নমুনায় করোনার প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজ়িজ়েস

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে থাকা ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত কি না, তা জানতে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজ়িজ়েস) পাঠানো হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রথম বারের পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই দ্বিতীয় দফায় তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠিয়েছে নাইসেড।

Advertisement

ওই বৃদ্ধ সম্প্রতি মিশর থেকে কলকাতায় ফেরেন। রবিবার জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে তাঁকে আইডিতে ভর্তি করানো হয়। আইডি সূত্রের খবর, বৃদ্ধের ডায়াবিটিস আছে, হৃদ্‌যন্ত্রেরও সমস্যা আছে। সোমবার তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় নমুনা চায় নাইসেড। সেই রিপোর্ট আসার আগেই বৃদ্ধকে অবশ্য হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইডি-র অধ্যক্ষা অণিমা হালদার বলেন, ‘‘বয়সের জন্য ওই বৃদ্ধের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকতে অসুবিধা হচ্ছিল। কাউন্সেলিং করে তাঁকে বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে। সমস্যার কিছু নেই।’’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে জানান, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত কারও নমুনায় করোনার প্রমাণ মেলেনি। তিন জন ভর্তি আছেন। আইডি সূত্রের খবর, বেলা ৩টে থেকে ৬টার মধ্যে ভর্তির সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে ১২ হয়েছে। এ দিন নতুন করে ১০ জনকে আইডিতে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন নামখানা, কাকদ্বীপ, পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ও হাওড়ার বাসিন্দা। চার জন বিহার, গুজরাত, ফিলিপিন্স এব‌ং ইটালি-যোগে পর্যবেক্ষণাধীন। এক জন মার্কিন নাগরিক। ৫ মার্চ তিনি কলকাতায় আসেন। শনিবার তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা। গত দু’দিন ধরে তাঁর জ্বর রয়েছে, সঙ্গে ডায়েরিয়া।

Advertisement

এ দিন ওই মার্কিন নাগরিকের পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরের করোনা-স্ক্রিনিং ডেস্কের এক নার্সিং স্টাফের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। নতুন ১০ জন-সহ আইডিতে এখন ১২ জন পর্যবেক্ষণাধীন। আজ, বৃহস্পতিবার ইটালির এক দম্পতির আইডি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা।

এ দিনও কুয়েত, সৌদি আরব, কাতারে কর্মরত ব্যক্তিদের ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত ছিল। কয়েক দিন ধরে ‘সিওভিডি১৯’-এর মোকাবিলায় ব্যস্ততার মধ্যে শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে নাজেহাল হয়েছেন আইডি-কর্তৃপক্ষ। এক সময় আবেদনকারীদের শান্ত করতে বহির্বিভাগের টিকিটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও করোনা-লক্ষণ নেই বলে নোট দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে এ দিন দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য ভবন। এই ধরনের শংসাপত্র দেওয়ার কোনও নির্দেশ নেই বলে দিল্লি থেকে স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার করোনা-প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। সিওভিডি-র মোকাবিলায় কী করণীয়, তা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের পাঁচ চিকিৎসককে দিল্লি পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার তাঁরা রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক-প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণ শিবিরে মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদেরও হাজির থাকার কথা।

করোনা-নমুনা পরীক্ষা করার জন্য এসএসকেএম হাসপাতাল তৈরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত প্রতিদিন খুব বেশি নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হচ্ছে না। আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে এসএসকেএম-কে তৈরি রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement