প্রতীকী ছবি।
বন্দর এলাকায় একবালপুরের ঘটনায় ধৃত ১৭ জনকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শুক্রবার ওই মামলায় ধৃত ১৭ জনকে বিচার ভবনে এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে এনআইএ-র আইনজীবী ধৃতদের জামিনের বিরোধীতা করে জেলে গিয়ে তাদের জেরা করার অনুমতি চান। বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন।
গত ৮ এবং ৯ অক্টোবর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাবালপুরের একাধিক এলাকা। যার ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচটি মামলা রুজু করে মোট ৬৮ জনকে গ্রেফতার করে। গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে একটি মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এনআইএ-র এসপি-র নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে। কথা বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে। শুক্রবার ধৃত ১৭ জনকে আদালতে তোলা হয়।
লালবাজার সূত্রের খবর, একবালপুরের গোলমালের ঘটনায় রুজু বাকি চারটি মামলা রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল সিটের হাতে। যা কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গঠন করা হয়েছিল। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে ওই মামলার তদন্ত চলছে। আগামী ১৪ নভেম্বর ওই চারটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে জমা দেওয়ার কথা সিটের।
এনআইএ জানিয়েছে, তারা কলকাতা পুলিশের থেকে ওই মামলার তথ্য ও কেস ডায়েরি নিয়েছে। আরও কিছু তথ্য নেওয়া বাকি। একবালপুরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানার জন্য ধৃতদের জেরা করা প্রয়োজন। তাই আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছে।