খাগড়াগড় কাণ্ডের তদন্তে ফের বাংলাদেশে পা রাখল ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই জঙ্গি দমনে পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে ভারত ও বাংলাদেশ। তারই সূত্র ধরে এনআইএ-র দলটি আজ দ্বিতীয়বার ঢাকায় এসেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এনআইএ প্রধান সঞ্জীব কুমার সিংহের নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল চার দিনের জন্য ঢাকা সফরে এসেছে।’’ উভয় দেশের কর্মকর্তারা খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-সহ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করবে বলেও জানিয়ছেন তিনি।
গত অক্টোবরে খাগড়াগড়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গিদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ঢাকায় গিয়ে তদন্তের অনুমতি চায় এনআইএ। বাংলাদেশ তাতে সায়ও দেয়। জঙ্গি দমনে দুই দেশের গোয়েন্দারা পারস্পরিক তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতায় রাজি হন। সে বার শরদ কুমারের নেতৃত্বে এনআইএ-র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এসেছিল ঢাকায়। এরই মধ্যে গতকাল আমেরিকার জঙ্গিগোষ্ঠী পর্যবেক্ষক ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যার পেছনে আল কায়দার হাত রয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ‘আল কায়দা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকনটিনেন্ট’ নামে আল কায়দার এই শাখা শুধু ঢাকার রাস্তায় অভিজিৎকেই নয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অন্য ‘ধর্মাদ্রোহী’দেরও হত্যা করেছে। এই তথ্য পাওয়ার পরে ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের গোয়েন্দারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আল কায়দার তৎপরতা নিয়েও অনুসন্ধান করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। খাগড়াগড় মামলায় অভিযোগপত্র ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে এনআইএ। অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েক জন বাংলাদেশিও আছে।