তানিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তইবার যোগেই বাদুড়িয়ার কলেজছাত্রী তানিয়া পরভিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে বৃহস্পতিবার ওই চার্জশিট জমা পড়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, তানিয়াকে জেরা করে এবং তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ও অন্য জিনিসপত্র থেকে লস্কর যোগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তইবার হয়ে কলেজছাত্রী তানিয়া একটি অনলাইন মডিউল তৈরি করেছিলেন। অনলাইনে তিনি জিহাদে উদ্ধুদ্ধ করেছেন অনেক যুবককে। তাঁদের লস্করের ক্যাডার হিসাবে নিয়োগে ভূমিকা নিয়েছেন। এনআইএ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১এ, ১২৪এ, ১২০বি (রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ষড়যন্ত্র)-সহ সন্ত্রাস দমন আইন ইউএপি-এর একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করেছে তানিয়াকে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনআইএ-র আইনজীবী শ্যামল ঘোষ।
গত মার্চে তানিয়াকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। সেনা গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে তাঁরা তানিয়াকে পাকড়াও করেন। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানা এলাকার মলয়পুর গ্রামের বাসিন্দা তানিয়া কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তানিয়া গ্রেফতার হওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নেয় এনআইএ। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, লস্কর জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে গিয়েই সেনা গোয়েন্দাদের নজরে আসে কিছু যোগাযোগ। নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকড়াও হওয়া লস্কর জঙ্গিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যসূত্র ধরে উঠে আসে বাদুড়িয়ার মেয়ে তানিয়ার নাম।
আরও খবর: ভার্চুয়াল ভাষণে ঝাঁঝালো আক্রমণ নড্ডার, মমতাকে ‘হিন্দুবিরোধী’ আখ্যা
প্রায় আটশো পাতার চার্জশিটে তানিয়ার লস্কর যোগাযোগের সবিস্তার তথ্য দিয়েছেন তদন্তকারীরা। অনলাইনে তানিয়া প্রায় ৫০টিরও বেশি গ্রুপে কী ভাবে লস্করের হয়ে জিহাদে তরুণ-তরুণীদের উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন তারও ব্যাখ্যা রয়েছে সেখানে। একই সঙ্গে সেই সমস্ত চ্যাট এবং যোগাযোগের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, সবটাই তানিয়া করেছেন এ দেশে বসেই। কখনও দেশের বাইরে যাননি তিনি। শ্যামল ঘোষ জানিয়েছেন, ১৭৪ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিয়েছে এআইএ।
আরও খবর: প্যাংগংয়ের পাড়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, বলছে উপগ্রহ ছবি