ঢাকায় বন্দি কি তালহা, অনুসন্ধানে এনআইএ

ঢাকায় ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে খাগড়াগড় কাণ্ডের এক চাঁই আছে কি না, সেই ব্যাপারে দিশা দেখাবে আর এক বন্দি! জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র অফিসারদের কারও কারও সন্দেহ, খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত তালহা শেখ এখন বাংলাদেশ পুলিশের হাতে বন্দি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪১
Share:

ঢাকায় ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে খাগড়াগড় কাণ্ডের এক চাঁই আছে কি না, সেই ব্যাপারে দিশা দেখাবে আর এক বন্দি!

Advertisement

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র অফিসারদের কারও কারও সন্দেহ, খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত তালহা শেখ এখন বাংলাদেশ পুলিশের হাতে বন্দি। ধৃত ব্যক্তিই তালহা কি না, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে গোয়েন্দারা খাগড়াগড় কাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত ও ধৃত নুরুল হক ওরফে নইমকে ফের জেরা করতে পারেন।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা নইমকে গত ১৮ জুন দুপুরে হাওড়া স্টেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ-র বক্তব্য, জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এ নইম ছিল তালহা শেখের ঘনিষ্ঠ অনুগামী। ধৃত ব্যক্তি সত্যিই তালহা হলে, তার ছবি দেখে নইম তাকে শনাক্ত করতে ভুল করবে না বলে গোয়েন্দাদের দাবি।

Advertisement

২৭ জুলাই, সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর ৮ পাণ্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে খোদ জেএমবি-র ভারপ্রাপ্ত আমির বা প্রধান— আবু তালহা মহম্মদ ফাহিম ওরফে পাখি। এনআইএ-র কর্তাদের একাংশের সন্দেহ, ওই পাখি আসলে খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তালহা শেখ। তবে এনআইএ-র এক শীর্ষকর্তা শুক্রবার বলেন, ‘‘এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাবে না। ধৃত পাখিই খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত তালহা কি না, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’

এনআইএ এই বছর মার্চ মাসে খাগড়াগড় কাণ্ডে চার্জশিট জমা দেয়। সেখানেই ফেরার অভিযুক্ত হিসেবে তালহার নাম ছিল। তালহার হদিস পেতে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছে এআইএ।

তদন্তকারীরা গোড়া থেকেই তালহাকে বাংলাদেশি হিসেবে সন্দেহ করেছিলেন। তালহা গত কয়েক বছর ধরে নদিয়ার দেবগ্রামের ডাঙাপাড়া ও বীরভূমের বোলপুরের শান্তিপল্লিতে ঘাঁটি গেড়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ চালাচ্ছিল বলে এনআইএ জানতে পারে। গত ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর থেকে তালহা পলাতক।

বাংলাদেশ পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ধৃত আবু তালহা মহম্মদ ফাহিম ওরফে পাখির বাবা এখন জেলে এবং সে-ই জেএমবি-র আমির বা শীর্ষনেতা মৌলানা সইদুর রহমান। সইদুর জেলে যাওয়ায় তার ছেলে পাখিকে আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এনআইএ-র বক্তব্য, পাখি আর তালহা শেখ এক ব্যক্তি হলে বুঝতে হবে জেএমবি-র একেবারে শীর্ষে থাকা নেতারা নিজেরাই পশ্চিমবঙ্গে এসে সংগঠনের জাল বিস্তার করছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement