নয়াদিল্লিতে পাটিয়ালা কোর্টের পথে পিএফআইয়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ই আবুবকর। পিটিআই
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআইয়ের বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তারই রেশ ধরে বুধবার গভীর রাত থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাসের তিলজলা রোডে পিএফআইয়ের দফতরেও তল্লাশি চলে। বুধবার রাত ৩টে নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও কলকাতা পুলিশের অফিসারদের নিয়ে পার্ক সার্কাসের একটি পাঁচতলা অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই সংগঠন কী ভাবে জেহাদি যুবকদের উদ্বুদ্ধ করে, কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা জানার জন্যই দেশ জুড়ে ওই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এনআইএ সূত্রের খবর, পার্ক সার্কাসের ওই অফিস থেকে সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার, ডায়েরি, পোশাক, প্রচুর বই এবং লিফলেট উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে এনআইএ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কার্যকলাপ ব্যাখ্যা করারপাশাপাশি সন্ত্রাসবাদীদের ধরপাকড়ের বিরুদ্ধে মগজ ধোলাইয়ের কথাও বলা হয়েছে। ডায়েরিতে টাকা লেনদেনের হিসাবও রয়েছে।
বুধবার রাত ৩টে নাগাদ অফিস সেক্রেটারি মোমিনুল ইসলাম এবং তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভাঙিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। তা চলে বৃহস্পতিবার বেলা প্রায় একটা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে প্রায় দশ ঘণ্টা। মোমিনুলদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা এবং আজ, শুক্রবার তাঁর একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই ভাড়া নেওয়া ওই অফিস সিল করা হয়নি। উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ দিন ওই অফিসের কাছে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ভিতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। স্থানীয়দের দাবি, ওই অফিসে বাইরে থেকে বহু লোক আসত। অফিসের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকত। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ওই অফিসে ইডি হানা দিয়েছিল বলেও তাঁরা জানান।
এ দিন এনআইএ-র দলটি বেরিয়ে যেতেই সেখানে হাজির হয়ে এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন কয়েক জন ব্যক্তি। মোমিনুলের দাদা নজরুল ইসলামের অভিযোগ, আরএসএসের নির্দেশে ইডি-এনআইএ ওই তল্লাশি করেছে। তাঁর ভাই দেশবিরোধী কাজে যুক্ত নন বলেও তাঁর দাবি।