Nabanna

দুই পুলিশ কমিশনারেটে যোগ হল নতুন জ়োন

মঙ্গলবার সেই নতুন জ়োনে আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারদের বহাল করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় আরও জোর দিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা ভেঙে ছোট ছোট পুলিশ জেলা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সেই পথে হেঁটেই এ বার হাওড়া ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে তিনটি করে জ়োনে ভাঙল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার সেই নতুন জ়োনে আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারদের বহাল করা হয়েছে।

Advertisement

হাওড়া শহরের দক্ষিণ প্রান্তের আইনশৃঙ্খলায় জোর দিতে সেখানকার ১০টি থানাকে দু’ভাগে ভেঙে নতুন একটি জ়োন তৈরির জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ২০১১ সালে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট তৈরির সময়ে দক্ষিণ জ়োনে থানার সংখ্যা ছিল আটটি। গত বছর তার সঙ্গে যুক্ত হয় হাওড়া গ্রামীণের দু’টি থানা— ডোমজুড় এবং সাঁকরাইল। ওই দুই এলাকায় বড় কোনও ঘটনা ঘটলে হাওড়া সদরের পুলিশ লাইন থেকে বাহিনী পাঠানো হত। দূরত্ব বেশি হওয়ায় ঘটনাস্থলে বাহিনী পৌঁছতে অনেক সময় লাগত। তাই দক্ষিণ জ়োনের পাশাপাশি হাওড়া সদর সংলগ্ন থানাগুলিকে নিয়ে সেন্ট্রাল জ়োন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়া শহরের ১৬টি থানাকে উত্তর, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল— এই তিন জ়োনে ভাঙা হয়েছে। ডিসি (দক্ষিণের) দায়িত্বে থাকা জোবি থমাসকে নতুন সেন্ট্রাল জ়োনে বহাল করা হয়েছে। অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) অনুপম সিংহকে ওই জ়োনেরই অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সদর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে পদোন্নতি দিয়ে করা হয়েছে ডিসি (দক্ষিণ)।

Advertisement

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে ওই কমিশনারেটকেও তিন ভাগে ভাগ করার আলোচনা চলছিল। রাজ্য প্রশাসনের কাছে সেই প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলেন ব্যারাকপুরের পুলিশকর্তারা। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের পর থেকে ব্যারাকপুরের উত্তর প্রান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় কার্যত অঘোষিত কার্ফু চলেছিল। টানা চার মাস ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দলে বন্ধ ছিল দোকান-বাজার, স্কুল-কলেজ। সেই সময়ে ওই কমিশনারেট তো বটেই, বাইরের জেলা থেকেও প্রচুর পুলিশ আনতে হয়েছিল। তখনই আবার নোয়াপাড়া, ব্যারাকপুর, টিটাগড় এলাকায় গোলমাল বাধলে তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকর্তাদের।

এর আগে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১৪টি থানা জ়োন ১ এবং ২-তে বিভক্ত ছিল। এ দিনের নির্দেশিকায় সব থানাকে তিনটি জ়োনে ভাঙা হয়েছে। উত্তর জ়োনের দায়িত্বে রাখা হয়েছে যুগ্ম কমিশনার অজয় ঠাকুরকে। ব্যারাকপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিসিকে উত্তর জ়োনে একই পদে বহাল করা হয়েছে। কৃষ্ণনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমনদীপকে পদোন্নতি দিয়ে ব্যারাকপুরের ডিসি (সেন্ট্রাল)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement