নামখানা থেকে মেরেকেটে ১২ কিলোমিটার। পর্যটনে জোয়ার আনতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চন্দনপিঁড়়িতে নতুন পর্যটন কেন্দ্র গ়ড়ে তুলছে মৎস্য উন্নয়ন নিগম। সপ্তমুখী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন এই ‘ইকো ফিশ টুরিজম’ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের শুরুতেই এই কেন্দ্রের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে জানান মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
প্রায় দেড় হেক্টর জায়গা জুড়ে এই প্রকল্পে পর্যটকদের জন্য থাকছে চারটি কটেজ। ৬০০ বর্গফুটের চারটি ঘর জলের উপরেই। প্রতিটি ঘরে দু’জন করে মোট আট জন থাকতে পারবেন। সমুদ্র ও নদীর মিলনস্থলে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা। তৈরি হচ্ছে নতুন জেটি, নতুন রাস্তা। লুটিয়ান্স দ্বীপ বা ভগবতীপুরের কুমির প্রকল্প দেখানো হবে অত্যাধুনিক লঞ্চে। নিগমের ম্যানেজির ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘ওখানে মাছ চাষও হবে। প্রাধান্য পাবে চিংড়ি। রুই, কাতলা, মৃগেলেরও চাষ হবে। পর্যটকদের বিনা পয়সায় মাছ ধরার সুযোগ থাকছে।’’
পর্যটকদের জন্য প্রায় ৫০ ফুট উঁচু একটি ‘ওয়াচ টাওয়ার’ বা নজরমিনার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই নজরমিনার থেকে সুন্দরবন, সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। সেই সঙ্গে থাকছে একটি ক্যাফেটারিয়া, রেস্তেরাঁ ও চিলড্রেন্স পার্ক। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার হেনরি আইল্যান্ড ও ফ্রেজারগঞ্জে দু’টি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে সাফল্য এসেছে। তাই নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে চন্দনপিঁড়়িতে।’’ নিগমের জেনারেল ম্যানেজার বিজন মণ্ডল জানান, পর্যটকদের সুন্দরবনের বাঘ দেখানোরও ব্যবস্থা হবে।