এমনিতেই সময় মেনে চলে না বলে দুর্নাম আছে ভারতীয় রেলের। দূরপাল্লার ট্রেনে জল ভরার মতো জরুরি কাজে তাই তারা আর বেশি সময় নষ্ট করতে চাইছে না। সময় বাঁচিয়ে দ্রুত জল ভরতে এ বার নতুন প্রযুক্তির হাত ধরছে রেল।
রেল বোর্ড সূত্রের খবর, এখন কোচে জল ভরতে ২০ মিনিট লাগে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সেটাকে পাঁচ মিনিটে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে পারলে ট্রেন চলাচলে তার সদর্থক ছাপ পড়তে বাধ্য। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই সারা দেশের ১৪২টি স্টেশনে নতুন প্রযুক্তি চালু হয়ে যাবে বলে রেলের দাবি। যে-সব স্টেশনে ট্রেনে জল ভরার ব্যবস্থা আছে, সেখানে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত বদল
আনার জন্য ইতিমধ্যেই ৩০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রেল বোর্ড। এক রেলকর্তা বলেন, “নতুন ব্যবস্থা চালু হলে শুধু যে ট্রেনে জল ভরার সময় অনেকটা কমবে তা-ই নয়, সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াটি অনেকাংশে ত্রুটিমুক্ত হবে। উন্নতি হবে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতারও।”
কী আছে নতুন পরিকল্পনায়?
রেল সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে দূরপাল্লার ট্রেনের এক-একটি কোচে ১৮০০ লিটার পর্যন্ত জল রাখার ট্যাঙ্ক বা আধার থাকে। ট্রেনের যাত্রাপথে ৩০০-৪০০ কিলোমিটার অন্তর কোচের সেই আধারে জল ভরতে হয়। হয়। এখন একটি ২৪ কোচের ট্রেনে জল ভরতে ন্যূনতম ২০ মিনিট সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেনকে অপেক্ষায়
থাকতে হয়। বিরক্ত হন যাত্রীরা। কোচের সঙ্গে লাগানো আধার ঠিকমতো ভর্তি হল কি না, সব সময় তা বোঝারও উপায় ছিল না। নতুন প্রযুক্তিতে আধারে দ্রুত জল ভরতে পাইপের পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি জলের চাপ বাড়ানোর জন্য উচ্চ অশ্বশক্তির বিশেষ পাম্প ব্যবহার করা হবে। পুরো ব্যবস্থার উপরে নজর রাখা হবে যান্ত্রিক উপায়ে। ওই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে রেলের গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ডিজ়াইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)।