—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে নতুন করে স্কুল শিক্ষার সিলেবাস কমিটি তৈরি করা হল। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বঙ্গবাসী কলেজের অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এ বার তাঁকে মাথায় রেখেই বিভিন্ন বিষয় অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের সংযুক্তিকরণ করে নতুন কমিটির কথা ঘোষণা করল রাজ্য। তবে এই কমিটি এখনও কোনও বৈঠকে বসেনি।
গত মার্চে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরেছিলেন অভীক মজুমদার। এপ্রিলে উদয়নকে চেয়ারম্যান করে অভীককে সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা পদে রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে অভীকের সঙ্গে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সুমিত চক্রবর্তীকে। সিলেবাস কমিটিতে বিষয়গত ভাবে ভাগও রয়েছে। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য এক জন করে মেন্টর ও সহযোগী হিসেবে কয়েক জন সদস্য রাখা হয়েছে। যেমন সিলেবাস কমিটিতে বাংলার বিষয়ে মেন্টর করা হয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে অধ্যাপক রাজীব চৌধুরীকে। ইংরেজি বিষয়ে মেন্টর হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মৈনাক বিশ্বাস। অঙ্কের মেন্টর সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব কৌশিক বসাক।
এ প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, ‘‘এখনও নতুন কমিটি কোনও বৈঠকে বসেনি। সবেমাত্র আমরা মেন্টরদের পেয়েছি। প্রথম বৈঠকে সামগ্রিক ভাবে আলোচনা হবে। তার পর এ বিষয়ে সবিস্তারে বলতে পারব।’’
তবে নতুন সিলেবাস কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলি। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘নতুন এই কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সিলেবাস কমিটিতে থাকার আদৌ যোগ্য কি না, তা নিয়ে শিক্ষামহলে প্রশ্ন রয়েছে। শাসকদলের কাছে অনুগত্য প্রকাশের কারণেই ওই সদস্যদের সিলেবাস কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি।’’
পাল্টা জবাব দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিও। তাদের তরফে কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার বলেন, ‘‘সিলেবাস কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা শাসকদলের সঙ্গে কখনওই যুক্ত ছিলেন না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে তাঁদের শাসকদলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত? যাঁদের দিয়ে কাজ হবে বলে মনে করা হয়েছে, তাঁদেরই সিলেবাস কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। অযথা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।’’