প্রতীকী ছবি।
অতিমারির প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকেই নিয়ম রয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে সঙ্কটজনক না হলে বাড়িতেই ১৪ দিন বিচ্ছিন্নবাসে (আইসোলেশনে) থাকতে হয়। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় একটা প্রশ্ন উঠে আসছে, সেই নিয়মে কি কোনও বদল ঘটেছে?
চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছেন, নিয়মের পরিবর্তন সম্পর্কে নতুন কোনও নির্দেশিকা নেই। তাই বেশির ভাগ চিকিৎসক এখনও ১৪ দিন বিচ্ছিন্নবাসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ আবার ১৭ দিনের কথা বলছেন। তারও কম সময় যে বলা হচ্ছে না তেমনটাও কিন্তু নয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এখনও পজ়িটিভ হওয়া থেকে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার কথাই বলা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে নতুন নিয়ম জানতে চাওয়া হয়েছে। যত ক্ষণ না তাঁরা কিছু জানাচ্ছেন, নিয়মে পরিবর্তন হচ্ছে না।’’ স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় কী নিয়ম হবে, সে বিষয়ে রূপরেখা দেয় আইসিএমআর। সেটির ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, স্বাস্থ্য দফতর ও বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের মতো নির্দেশিকা তৈরি করে।
তবে কিছু জায়গায় এখন বলা হচ্ছে, উপসর্গহীন থাকলে পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার পাঁচ দিনের মাথায় ফের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় রিপোর্ট নেগেটিভ, তা হলে আরও পাঁচ দিন পরে ওই ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘স্থানীয় স্তরে কেউ এটা পরীক্ষামূলক ভাবে করতে পারেন, কিন্তু সেটা সরকারি নির্দেশিকা নয়।’’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানাচ্ছেন, ভাইরাসের আগের স্ট্রেনের হিসেবেই ১৪ দিন আইসোলেশন পিরিয়ড ঠিক করা আছে। ওমিক্রন এবং এখন যে স্ট্রেনে রাজ্যে ছড়াচ্ছে সেটির সংক্রমণ কত দিন থেকে যাচ্ছে কিংবা আক্রান্তের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কত দিন পর্যন্ত থাকছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কথায়, ‘‘কত দিনে এক জনের আইসোলেশন শেষ হবে, তা নির্ভর করে রোগটি কত দিন সংক্রামক থাকবে তার উপরে। নতুন কোনও গবেষণায় যদি দেখা যায়, ওমিক্রনে আরও কম দিনে নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে, তখন নতুন করে ভাবনাচিন্তা করা হবে।’’