Swasthya Sathi

শুধু আবেদনপত্র নয়, ছবি তুলে আঙুলের ছাপ দিলে তবেই স্বাস্থ্যসাথী 

স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড পেতে ফের এক দিন বাড়ির সব সদস্যের ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২৬
Share:

শিবিরে শুধু আবেদন জমা করলেই হবে না। ফাইল চিত্র।

দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে আবেদন জমা করলেই হবে না, স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড পেতে ফের এক দিন বাড়ির সব সদস্যের ছবি তোলার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সেখানে দিতে হবে দুই হাতে বুড়ো আঙুলের ছাপও। আপাতত জানুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আবেদন গ্রহণের কাজ চললেও, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বায়োমেট্রিক চিহ্ন সংগ্রহের কাজ ধারবাহিকভাবে চলতেই থাকবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের আশ্বাস, যে ভাবে আবেদন পড়ছে তাতে সকলের হাতে কার্ড পৌঁছে দিতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু বায়োমেট্রিক সংগ্রহ হয়ে গেলে সকলেই কার্ড পাবেন বলে দাবি স্বাস্থ্য ভবনের।

Advertisement

স্বাস্থ্য ভবনের হিসাব অনুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে ৪১ লক্ষ পরিবার আবেদন করেছে। সেখান থেকে বাছাই পর্ব শেষে ২৭ লক্ষ পরিবারের হাতে কার্ড তুলে দেওয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কার্ড হাতে পেয়েছেন ৫ লক্ষ পরিবার। অর্থাৎ অন্তত ২০ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়ে গিয়েছেন।

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পটি এখনও এক মাস চলবে। ফলে আরও অন্তত ২০-২৫ লক্ষ পরিবার কার্ড চেয়ে আবেদন করতে পারে। বাছাই পর্ব শেষে অন্তত ৩৫-৪০ লক্ষ পরিবারকে কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু জানুয়ারির মধ্যে এত সংখ্যক কার্ড দেওয়া মুশকিল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কারণ, আবেদন পত্র নির্বাচিত হওয়ার পর একটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লাগছে। এক বার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ইউনিক আইডি তৈরি হওয়ার পরই মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে প্রতিটি পরিবারকে বায়োমেট্রিক তথ্য ও ছবি তোলার জন্য ডাকা হচ্ছে। এর পর স্বাস্থ্য দফতরের লোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথীর বিমা হয়েছে এমন কাগজ দিয়ে আসছে।
স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, এখন প্রতিদিন ৫৫ হাজার কার্ড তৈরি করা সম্ভব হবে। দু’চার দিনের মধ্যেই দিনে ৭০ হাজার কার্ড তৈরি যাবে। ফলে ৩০টি কাজের দিন পাওয়া গেলে ২০ লক্ষ পরিবারের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া যাবে। বাকিদের জন্য সরকার ধীরে ধীরে কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। তবে কার্ড না পেলেও সেই সব পরিবারকে ধৈর্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেউ ভয় দেখায়নি, বলছেন বাসুদেব

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement