মঙ্গলবার জয়নগরের সরকারি সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
নতুন করে বার্ধক্যভাতার জন্য যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের টাকা পাওয়ার বিষয়টি কয়েক মাস ধরে আটকে রয়েছে। তবে সে বিষয়ে আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার জয়নগরের সরকারি পরিষবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বার্ধক্যভাতার জন্য অনেকে আবেদন করেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। তবু যাঁরা ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে আবেদন করেছেন, তাঁদেরটা আশা করি আমরা করে দিতে পারব।’’
রাজ্য সরকারের ‘অপারগতার’ কারণেই মাস দুয়েক আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, যত দিন নবান্ন না পারছে, তত দিন তিনি সাংসদ হিসেবে তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের ৭০ হাজারের বেশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বার্ধক্যভাতা দেবেন। গত রবিবার সেই ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন অভিষেক। সে দিন অভিষেক এ-ও বলেছিলেন, কেন্দ্রের আর্থিক ‘অবরোধ’-এর কারণেই রাজ্য সরকারের পক্ষে নতুন আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার মমতা পাশের জয়নগর থেকে বার্ধক্যভাতা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন।
রাজ্য সরকার না পারলেও সাংসদ হিসেবে নিজের কেন্দ্রে বার্ধক্যবাতা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছেন অভিষেক। কিন্তু অভিষেক যে সময়ে এই ঘোষণা করেছিলেন, সেই সময়েই তৃণমূলের একাধিক সাংসদের থেকে আনন্দবাজার অনলাইন জানতে চেয়েছিল, তাঁরা কি তাঁদের কেন্দ্রে ‘অভিষেক মডেল’ অনুসরণ করতে পারবেন? বেশির ভাগ সাংসদই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের পক্ষে প্রতি মাসে কয়েক হাজার মানুষকে ভাতাপ্রদান সম্ভব নয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলও।
মঙ্গলবারের সরকারি মঞ্চ থেকেও মমতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া না দেওয়ার অভিযোগে সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে আমরা ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই। ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না, আবাসের টাকা দিচ্ছে না, রাস্তার টাকা দিচ্ছে না।’’ পাশাপাশি মমতা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এ সবের মধ্যেও রাজ্য সরকার নিজেদের টাকায় আরও ১২ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণ বা সংস্কার করবে। তা হবে পথশ্রী-৩ প্রকল্পে।