ইস্তফার চিঠি দিলেন সোমেন, নিল না কেউ

কয়েক দিন আগে সস্ত্রীক দিল্লি গিয়েছেন সোমেনবাবু। দিল্লিতেই দু’দিন আগে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার চিঠি লিখে দলীয় হাইকম্যান্ডকে পাঠিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০১:২৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায় মেনে ইস্তফা দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানতে পারলেন, স্বয়ং রাহুল গাঁধী সরে দাঁড়ানোর পরে কংগ্রেস সভাপতির দফতর এখন কারও পদত্যাগপত্র মঞ্জুরই করছে না! নতুন কংগ্রেস সভাপতি দায়িত্বে এসে রাজ্যে রাজ্যে মুখ বদল করতে চাইলে তখন দেখা যাবে।

Advertisement

কয়েক দিন আগে সস্ত্রীক দিল্লি গিয়েছেন সোমেনবাবু। দিল্লিতেই দু’দিন আগে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফার চিঠি লিখে দলীয় হাইকম্যান্ডকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিপর্যয়ের দায় আমি আগেই স্বীকার করেছি। বাংলায় কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিয়ে ১৯৯৮ সালে প্রদেশ সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়েছিলাম। এ বার আমাকে সভাপতি করেছিলেন রাহুল। তিনিই যখন সভাপতি থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন আমারও প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব আঁকড়ে থাকার মানে হয় না।’’ কিন্তু পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি পেয়ে বাংলার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র নেতা গৌরব সোমেনবাবুকে জানান, এআইসিসি এখন ইস্তফা গ্রহণ করছে না। জাতীয় স্তরে নতুন সভাপতি দায়িত্ব নিলে তিনিই ঠিক করবেন, কোন রাজ্যে কে প্রদেশ সভাপতি থাকবেন।

রাজ্যে কংগ্রেসের আসন্ন ‘রোড ম্যাপ’ তৈরি করতে ১৯ জুলাই বিধান ভবনে জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে এআইসিসি-র প্রতিনিধিও হাজির থাকবেন বলে গৌরব জানিয়েছেন।

Advertisement

এরই মধ্যে রাজ্যে যৌথ আন্দোলনের পথে এগোনোর জন্য জোড়া পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বাম ও কংগ্রেস শিবিরে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের দফতর এবং দিল্লিতে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে জোড়া বৈঠকে দুই শিবিরের দুই প্রস্তাব উঠে এসেছে দু’দিনে। চার বাম দল সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্ব আলিমুদ্দিনে বৈঠকে বসেছিলেন মঙ্গলবার। ফ ব-র নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায় ও হাফিজ আলম সৈরানি সেখানে প্রস্তাব দিয়েছেন, চিরাচরিত বামফ্রন্টের আধার থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস-সহ সব গণতান্ত্রিক দলকে সঙ্গে নিয়ে নতুন মঞ্চ গড়া হোক। অবশ্যই সেই মঞ্চ হবে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই মঞ্চের উদ্যোগে কনভেনশন করে কর্মসূচি নেওয়া হোক এবং পথে নামা হোক। তা হলে বিভ্রান্তি কাটিয়ে বিজেপির উত্থান মোকাবিলার রাস্তা পাওয়া যাবে। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা প্রস্তাব উড়িয়ে দেননি। নিজেদের দলেও তাঁরা এই নিয়ে আরও আলোচনা করবেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর।

দিল্লিতে আবার প্রদীপবাবুর বাড়িতে সোমবার রাতে আলোচনায় বসেছিলেন গৌরব, সোমেনবাবুরা। তাঁরা চান, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হোক। সেখানে ডাকা হোক বামফ্রন্টের নেতাদেরও। প্রদীপবাবুর মতে, বিক্ষিপ্ত ভাবে কর্মসূচি না করে সার্বিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলন অবিলম্বে শুরু হোক।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement