পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
আরও সম্পত্তির হদিস। বুধবার পার্থ-অর্পিতার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় আদালতে এমনই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডির দাবি, এসএসসি নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও দু’টি সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে আদালতে দাবি করল ইডি। বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির হন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতে পার্থ জামিনের আবেদন করলেও অর্পিতার আইনজীবী জামিন চাননি। এই পর্বেই সওয়াল-জবাব চলাকালীন ইডির আইনজীবীরা দাবি করেন, আগে যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তা ছাড়াও আরও দু’টি নতুন সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছিল। ওই ভুয়ো সংস্থাগুলিতে যে সমস্ত ডিরেক্টরের নাম রয়েছে তাঁরা সবাই ডামি (কাগুজে)। ইডি মনে করছে, ওই ভুয়ো সংস্থাগুলোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল পার্থের হাতেই। তার মধ্যে অন্যতম মেসার্স সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং ভিউমোর।
ইডির তরফে আদালতে দাবি, রাসবিহারী কানেক্টরের কসবায় একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই সম্পত্তিটি কেনা হয়েছিল সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। যে সম্পত্তির বাজারমূল্য ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। এর পাশাপাশি ৮, যামিনী রায় রোডেও একটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতে দাবি ইডির। ওই সম্পত্তির মালিকানা ভিউমোরের নামে। ইডির দাবি অনুযায়ী, সেই সংস্থার পরিচালন কাগজে-কলমে অন্য কারও হাতে থাকলেও আদতে তা নিয়ন্ত্রণ করতেন পার্থই। ইডির দাবি অনুযায়ী, নতুন দু’টি সম্পত্তির বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকার আশেপাশে।
কিন্তু কোথা থেকে এল এত টাকা? ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকাই এ কাজে ব্যবহার করা হত। এই প্রসঙ্গেই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘আমরা মনে করছি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হতে পারে। তার চেয়ে বেশিও হতে পারে।’’ আইনজীবী জানান, তার মধ্যে ৪৯ কোটি টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেও হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার শুনানি চলাকালীনই কেঁদে ফেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘জামিন দিন, আমাকে বাঁচতে দিন।’’