করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নবান্নের তরফে বুধবার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে রাস্তার নাম ধরে নির্দিষ্ট ভাবে কলকাতার ২৫টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক নজরে দেখে নিন কলকাতার এবং তার সংলগ্ন কোন কোন এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়ছে।
কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরো এলাকায় ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এই তালিকায় রয়েছে। যেখানে কাঁকুড়গাছির ২০/১ এন, মোতিলাল বসাক লেন-কে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে দেখানো হয়েছে, এটি বসতি এলাকা।
আলিপুরের ৩টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলিপুর রোডে সত্যম টাওয়ার্স -৬৪এ, ৫বি, জাজেস কোর্ট এবং ১ নং বেলভেডিয়ার রোড (বেলভেডিয়ার এস্টেট)। এই তিনটি ৯ নম্বর বরোয় ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে হাউজিং কমপ্লেক্স।
ভবানীপুরেও মোট ৩টি এলাকা, ১৯এ শরৎ বোস রোড, কলকাতা-২০, চক্রবেড়িয়া রোড, কলকাতা-২৫ (৪৯বি, ৩৬এ, ৪৪, 8/১বি, ১২এ) এবং ৫৫ এ, ডক্টর শরৎ ব্যানার্জী রোড, কলকাতা-২৯ করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দু’টি ৮ নম্বর বরোর ৭০ নম্বর ও পরেরটি ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের হাউসিং কমপ্লেক্স।
কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর বরোয় ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে খোট্টাবাগান, এসসিএইচ VII এম-এর পি১২ (কাঁকুড়গাছি), সিআইটি স্কিম VII এম এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। এও হাউসিং কমপ্লেক্স।
উল্টোডাঙায় আরিফ রোড (১/২ আরিফ রোড) এবং অধর চন্দ্র দাস লেন (পুরো) এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি পুরসভার ৩ নম্বর বরোর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বসতি এলাকা।
মুকুন্দপুরে ১৩৮ পূর্বালোক, কলকাতা-২৯ এলাকা যেটি ১২ নম্বর বরোর ১০৯ ওয়ার্ডে অবস্থিত, একেও চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এটি একটি মিশ্র বসতি এলাকা।
কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বটতলা এলাকার ৮/সি, ৩এ, ৪/১ডি, হরিপাল লেন-কে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাও মিশ্র বসতি এলাকা।
৩ নম্বর বরোর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দত্তবাগানের জওহরলাল দত্ত লেন এলাকাটি চিহ্নিত হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে। এটিও একটি বসতি এলাকা।
এই তালিকায় রয়েছে বিজয়গড়ে ২ নং বিজয়গড় এলাকা যেটি কলকাতা পুরসভার ১০ নম্বর বরোতে ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এখানেও মূলত মিশ্র বসতি এলাকা।
কলকাতা পুরসভার ৭ নম্বর বরোতে ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কসবা এলাকা। এখানে ৭৬ থেকে ১৫৭ ডক্টর জি এস বোস রোড এবং ৮৫ থেকে ১৫৮ সুইনহো লেন এলাকা কনটেনমেন্ট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটিও মিশ্র বসতি এলাকা।
আমহার্স্ট স্ট্রিটে ১৩৮, রাজা রামমোহন সরণী (৪৬/৫৭, ৫৭, ১০৪, ৯৬এ, ১০৬/২এ) এলাকা এই তালিকায় রয়েছে। যেটি কলকাতা পুরসভার ৪ নম্বর বরোতে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই এলাকাটিও মিশ্র বসতি চরিত্রের।
অজয়নগরে সম্মিলনী পার্ক, কলকাতা-৯৯ (মাঙ্গলিক থেকে যুবশক্তি সম্মিলনী ক্লাব) এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড।
কর বাগানে ১৭ উল্টোডাঙা মেন রোডে বসতি এলাকাটি চিহ্নিত হয়েছে। পুরসভার ৩ নম্বর বরোর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে এটি।
ফুলবাগান এলাকায় ৩৪এল এবং ৬৪, সুরেন সরকার রোড-কে করোনাভাইরাসের কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি ৩ নম্বর বরোর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
৩ নম্বর বরোর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জোড়া মন্দির বাজার এলাকার তরুণকৃষ্ণ নস্কর লেন ক্রসিং সঙ্গে চালপট্টি রোড-কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি একটি মিশ্র বসতি এলাকা।
১৬ নম্বর বরো এলাকায় ১২৩ নম্বর ওয়ার্ড, সখের বাজারের বৈদ্য পাড়া হাইস্কুল থেকে ৪৬/১ ভুবনমোহন রায় রোড পর্যন্ত এলাকা করোনায় কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুরসভা।
১৬ নম্বর বরো-তেই ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১ প্রগতি পল্লি থেকে ২৪৫সি এম জি রোড এলাকা এই তালিকায় রয়েছে।
৪ নম্বর বরো-তে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিরীশ পার্কে ৩২, ৬৭, ৫/৭ বলরাম দে স্ট্রিট এই তালিকায় রয়েছে। এটি একটি মিশ্র বসতি এলাকা।
বেনিয়াপুকুরে লিটন স্ট্রিটে ব্লাড ব্যাঙ্ক (সুন্দরী মোহন অ্যাভিনিউ ক্রসিং) থেকে বিদ্যাপীঠ স্কুল পর্যন্ত এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি ৬ নম্বর বরোতে ৬০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার অন্তর্গত। এটিও মিশ্র বসতি এলাকা।
কলকাতা সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার লেকটাউনের বেশ কয়েকটি এলাকা এই তালিকায় রয়েছে। যার মধ্যে বাঙুর অ্যাভিনিউ-য়ে ব্লক-এ, সুপার মার্কেট গলি এবং বাঙুর অ্যাভিনিউ, ব্লক-এ সংলগ্ন বাজার এলাকা এই তালিকায় রয়েছে। এটি বিধাননগর সাবডিভিশনের দক্ষিণ দমদম পুরসভার মধ্যে পড়ছে।
বিধাননগর সাবডিভিশনে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় লেকটাউনের আরও তিনটি এলাকা এই তালিকায় রয়েছে। দক্ষিণদাঁড়ির ৫ নং নেহরু কলোনি, শাস্ত্রীজি কলোনি এবং এর সংলগ্ন বাজার এলাকা।
বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় বাগুইআটি থানার অন্তর্গত কেষ্টপুরের সমরপল্লি এলাকাও কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার ব্লক: এফডি-৪৩, ৫৮/১, ৩০১ এবং ৩০৮ (ওয়ার্ড নম্বর ৩৩), এফই-২১, ৫২৩ এবং ৫১৬, (ওয়ার্ড নম্বর ৩৩), আইবি-১, ৯ এবং এইচসি-এসবিআই কোয়ার্টার্স (ওয়ার্ড নম্বর ৩৪) এবং বিই-২৩২ থেকে ২৪৯ (ওয়ার্ড নম্বর ৩১), সল্টলেক, কলকাতা-৬৪ এই তালিকায় রয়েছে।
বরাহনগর পুরসভায় এমএনকে রোডে ৪, ৫, ৬, ৭, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড, জিএলটি রোডে ১৩, ২৬, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড, বি কে মৈত্র রোডে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড, দেশবন্ধু রোডে ৭, ৮,৯ নম্বর ওয়ার্ড, সূর্য সেন রোড ৩ নম্বর ওয়ার্ড, একে মুখার্জি রোডে ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, ডানলপের রবীন্দ্রনগরে বরাহনগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে।
দমদম থানা এলাকায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার রবীন্দ্রনগর (পশ্চিম)-এর ৩ নম্বর ওয়ার্ড এই তালিকায় রয়েছে। কাজিপাড়া বাজার (দক্ষিণ দমদমের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড), বড় বাজার (দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ড), মিনি বাজার (দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ড), গোরা বাজার (দমদম পুরসভার ১৮, ২১, ২২ নম্বর ওয়ার্ড), মতিলাল বাজার (দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড), কুমিরোয়ারা বাজার (দমদম পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড) এই তালিকায় রয়েছে।
এছাড়াও যশোর রোডে নাগের বাজার থেকে ভগবতী পার্ক বাজার (দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২, ২৩, ২৫, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড) এবং দমদম রোডে মোতিঝিল থেকে দমদম স্টেশন বাজার (দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৮, ১০, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ২২ নম্বর ওয়ার্ড) করোনার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকায় রয়েছে।