প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি কার্যকর করতে এ বার ছয় সদস্যর কমিটি তৈরি করল শিক্ষা দফতর।
দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, স্কুলে শিক্ষকদের এতদিন পদোন্নতির সুযোগ ছিল না। একজন শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দিতেন। তাঁর অবসরও হত সহকারী শিক্ষক হয়েই। একজন প্রধান শিক্ষকও ওই পদেই সারা জীবন কাজ করে অবসর নিতেন। নতুন শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষকদেরও কাজের ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে। তার মাপকাঠি ঠিক করবে এই ছয় সদস্যের কমিটি।
এই কমিটির মধ্যে আছেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি জানান, উচ্চ শিক্ষায় অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্রফেসর পদ রয়েছে। অথচ কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি নেই। উচ্চ শিক্ষায় অ্যাকাডেমিক পারফমেন্স ইনডিকেটর (এপিআই) রয়েছে। এই এপিআই এ বার স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। উল্লেখ্য, রাজ্য শিক্ষানীতির যখন তৈরি হচ্ছিল তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবই কার্যকর করা হচ্ছে।
উচ্চ শিক্ষায় যে সব বিষয় দেখে একজন শিক্ষকের পদোন্নতি হয়, সেই সংক্রান্ত ইউজিসি গাইডলাইন আছে। স্কুল শিক্ষায় শিক্ষকদের পদোন্নতি তার থেকে অনেকটাই আলাদা হবে বলে জানান চিরঞ্জীব। তিনি জানান, উচ্চ শিক্ষায় যেমন গবেষণামূলক কাজ, জার্নাল প্রকাশ, নানা আমন্ত্রণমূলক গবেষণাপত্র পড়া, লেকচার দেওয়ার উপরে একজন শিক্ষকের পদোন্নতি হয়, স্কুল শিক্ষায় হয়তো সেটা কিছুটা ভিন্ন হবে। স্কুল শিক্ষায় গবেষণামূলক কাজের সেরকম সুযোগ নেই। তাই দেখা হতে পারে একজন শিক্ষক কোনও বই লিখলেন কিনা, স্কুল পরিচালনা কী ভাবে করছেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে অতিরিক্ত কোনও শিক্ষা পড়ুয়াদের দিচ্ছেন কিনা, শিক্ষামূলক ভ্রমণে পড়ুয়াদের নিয়ে যাচ্ছেন কিনা।
চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘আমাদের ছ’জনের কমিটি ঠিক করবে কী কী বিষয় দেখে শিক্ষকদের পদোন্নতি হতে পারে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের এই রিপোর্ট শিক্ষা দফতরে জমা দেওয়ার কথা।’’