ফাইল চিত্র।
দুর্গাপুজোর সময় ‘নেট’ হবে না এ রাজ্যে। তাঁকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক এমনটাই বলেছেন বলে সোমবার জানান তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
আগামী ২১, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর ‘নেট’ হওয়ার কথা। ঘটনাচক্রে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো শুরু ২১ অক্টোবর থেকে। ওইদিন ষষ্ঠী। সেদিন দেবীর বোধন। ২২ তারিখ সপ্তমী। ২৩ তারিখ অষ্টমী। বাঙালির সংস্কৃতি ও ভাবাবেগের সঙ্গে দুর্গাপুজো ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। যে পুজোর জন্য বাঙালিরা বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন, সেই সময়েই পরীক্ষার দিনক্ষণ কেন ঠিক করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। সেই প্রতিবাদের সামনের সারিতে ছিল রাজ্যের শাসক তৃণমূল। যুব তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই। তারা বাঙালির আবেগকে কোনও মর্যাদাও দেয় না। সেই কারণেই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেই পরীক্ষা নেওয়ার মতো একটি সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। তবে তখন পরীক্ষার সূচি পুনর্বিবেচনার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি কেন্দ্র।
এর পর রবিবার সংসদের অধিবেশনের জিরো আওয়ারে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন দীনেশ। তিনি রাজ্যসভায় বলেন, বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সেই সময় পরীক্ষার দিনক্ষণ পড়লে তা পরীক্ষার্থী তো বটেই, সাধারণ নাগরিকরাও অসুবিধায় পড়বেন। সেটি যেন কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করে। দীনেশ বলেন, (গুপ্তপ্রেশ পঞ্জিকা মতে) অক্টোবরের ২১, ২২ এবং ২৩ তারিখে যথাক্রমে পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী। দীনেশ অনুরোধ করেন, হয় পরীক্ষা এগিয়ে আনা হোক। নতুবা পিছিয়ে দেওয়া হোক। সোমবার দীনেশ জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, পুজোর সময় ‘নেট’ হবে না। দীনেশ আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী তাঁর অনুরোধ মেনে নিয়েছেন। দীনেশ বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের উপস্থিতিতেই আমি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, নেট কি সেই দুর্গাপুজোর সময়েই হচ্ছে? তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, পরীক্ষা পুজোর মধ্যে হবে না। আমি তখন আবার প্রশ্ন করি, পুজোর সময় হবে না তো বোঝা গেল। কিন্তু ওই পরীক্ষা পুজোর আগে হবে না পরে? শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পুজোর পর। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে এখনও সরকারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কৃষি বিল নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ডেরেক, দোলা-সহ সাসপেন্ড ৮ সাংসদ