সোমবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আচমকা পরিদর্শনে এসে রাজ্যে তফসিলিদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ তোলেন কমিশনের শীর্ষকর্তা অরুণ হালদার। প্রতীকী ছবি।
বাংলায় তফসিলিদের অধিকার সুরক্ষিত নয়। বিনা দোষে রাজনৈতিক কারণে বহু তফসিলিকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি, এ নিয়ে নবান্নের কাছে বার বার বৈঠকের আবেদন জানালেও তাতে সাড়়া মেলেনি। এমনই অভিযোগ করল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। যদিও কমিশনের এ হেন অভিযোগকে সারবত্তাহীন বলে নস্যাৎ করেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
সোমবার মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আচমকা পরিদর্শনে এসে রাজ্যে তফসিলিদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার অভিযোগ তোলেন কমিশনের শীর্ষকর্তা অরুণ হালদার। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের তফসিলিদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হবে কমিশন।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ মেদিনীপুরের ওই সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন কমিশনের শীর্ষকর্তা। সেখানে গিয়ে বন্দিদের পাশাপাশি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন। তবে পরিদর্শন শেষে রাজ্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কমিশনের এই শীর্ষকর্তা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কোনও তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এ নিয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই তফসিলি জাতিভুক্ত বন্দিদের নানা ভাবে প্রভাবিত করা হচ্ছে। কখনও পুলিশ, কখনও বা রাজনৈতিক চাপের কাছে বয়ান বদলাতে হচ্ছে অভিযুক্তদের। ফলে সুবিচার পাচ্ছেন না তাঁরা।
শীর্ষকর্তার আরও অভিযোগ, তফসিলভুক্ত বহু মানুষকে বিনা দোষে রাজনৈতিক কারণে সংশোধনাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই বন্দিদের হয়ে সওয়াল করবে কমিশন। এ রাজ্যে তফসিলিদের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন কমিশনের ওই কর্তা। এ নিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতি এবং বাংলার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবে কমিশন। যদিও কমিশনের অভিযোগ মানতে নারাজ কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, ‘‘একটি প্রতিনিধিদল রুটিনমাফিক (সংশোধনাগার) পরিদর্শনে এসেছেন ঠিকই। তাঁরা পরিদর্শনও করেছেন। তবে যে সমস্ত অভিযোগ তুলছেন, তার কোনও সারবত্তা রয়েছে বলে আমরা মনে করি না।’’