—ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনের দিন শীতলখুচিতে সিআইএসএফের গুলিতে হত চার ভোটারের পরিবারগুলি ‘বিচার’ পায়নি বলে অভিযোগ তুললেন আইএসএফের নেতা ও বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে এক জনসভায় রবিবার এই অভিযোগ তোলেন নওশাদ। তিনি বলেন, “তৃণমূল ওই পরিবারগুলিকে ব্যবহার করে ভোট নিয়েছে। কিন্তু ইনসাফ দেওয়ার জন্য কোনও ভূমিকা নেয়নি।” আর সে কারণেই তিনি শীতলখুচিতে সংগঠনের কাজ শুরু করলেন বলে দাবি করেছেন।
এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও এক হাত নেন নওশাদ। তিনি বলেন, “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন। তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সাধারণ মানুষ মার খাচ্ছে। আমরা সেই সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।”
নওশাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, “বিজেপির সুবিধে করে দিতেই যে নওশাদ ঘুরছে তা সবাই জানে।” নিশীথ অবশ্য নওশাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চান না। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে। তারা তৃণমূলের কথাও শুনছে না, নওশাদের কথাও শুনবে না।”
কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা শীতলখুচি, দিনহাটার মতো এলাকায় সংখ্যালঘুদের বসবাস বেশি। এ ছাড়া কোচবিহার দক্ষিণ, নাটাবাড়ির মতো বিধানসভা কেন্দ্রেও সংখ্যালঘুদের বড় অংশ বসবাস করেন। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভোটারদের দিকেই তাকিয়ে নওশাদ। সংখ্যালঘু ভোটেরএকটি অংশ তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারলে দুর্বল হয়ে পড়বে শাসক দল। যা বাম বা আইএসএসএফের দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে আসার কাজে সহায়ক হবে বলে তাদের দাবি।
অন্য দিকে, তৃণমূলও জেলার সমস্ত সংখ্যালঘু প্রধান এলাকায় বাসিন্দাদের নওশাদ নিয়ে বার্তা দিচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলেরমুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “নওশাদ যে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন, তা ফের প্রমাণিত হল।” শীতলখুচিতে দু’দিন আগেইসংখ্যালঘু সেলের সভা করেছে বিজেপি। সেখানে নওশাদের ভূমিকা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।