এগরার খাদিকুল গ্রামের ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছে তথ্য চেয়েছে কমিশন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু এবং একাধিক গ্রামবাসীর আহতের ঘটনায় এ বার রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শুক্রবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে তারা। এগরার খাদিকুল গ্রামের ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছে তথ্য চেয়েছে কমিশন। তাদের দাবি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্য মিলেছে, তাতে স্পষ্টতই মানবাধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে। তাই চার সপ্তাহের মধ্যে ওই ঘটনার রিপোর্ট চাইছে তারা।
গত মঙ্গলবার এগরায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। তাতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনিও এনআইও তদন্তকে স্বাগত জানান। অন্য দিকে, বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এনআইএ তদন্ত, মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ-সহ রাজ্যের কাছে একগুচ্ছ দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্য দিকে, ওড়িশার হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ। বিস্ফোরণ ঘটার পর তিনি জখম অবস্থায় ভিন্রাজ্যে পালিয়ে যান।
ভানুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছে। শুভেন্দু দাবি করেছেন ভানু তৃণমূলের নেতা। পাশাপাশি ওই এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটার পরও সাবধান হয়নি প্রশাসন। তাঁর আরও দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বাজি কারখানার আড়ালে বিস্ফোরক তৈরি করতেন ভানু। তিনি ছিলেন শাসকদলের ছত্রছায়ায়। এবং প্রশাসনের একটি অংশ সব কিছু জেনেও চুপ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ২৫ হাজার লোক নিয়ে এগরায় মহামিছিল হবে বলেও জানান শুভেন্দু। অন্য দিকে, রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন এনআইএ হলেও আপত্তি নেই। সেখানে বিরোধী দলনেতা কী বললেন, তা অপ্রাসঙ্গিক।’’ এগরার বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিন্দা প্রকাশ করেছেন। মামলা হয়েছে হাই কোর্টেও।