নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আসার কথা সরকারি অনুষ্ঠানে। তার পর হলদিয়ায় দলীয় জনসভাতেও যোগ দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য বিজেপি-র সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার তা জানিয়েছেন।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমন্ত্রিত। তবে তাঁর যোগদানের ব্যাপারে এখনও ইতিবাচক খবর মেলেনি। হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে সরকারি ওই অনুষ্ঠানস্থলের কয়েকশো মিটার দূরেই বিজেপির দলীয় সভার মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পরে শিল্পশহরে মোদীর এই সভা নিয়ে উত্তেজনার পারদও চড়ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের আর কোনও বড় তৃণমূল নেতা ওই সভায় দল বদল করেন কি না, জল্পনা চলছে তা নিয়েও।
জেলা বিজেপি সূত্রের খবর, ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টো নাগাদ প্রধানমন্ত্রী হলদিয়ায় পৌঁছে প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে বিকেল ৩টেয় বিজেপির জনসভায় যাবেন। সেখানে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু থাকবেন। এ দিন হলদিয়ায় বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর সভা সংক্রান্ত প্রস্তুতির জন্য বৈঠক করেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, তমলুক সাংগঠনিক জেলার ২৪৪৪টি বুথের প্রতিটি থেকে অন্তত ১০০ জন করে কর্মী-সমর্থককে মোদীর সভায় নিয়ে যেতে হবে। বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দলীয় জনসভায় ২ লক্ষের বেশি জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’’
মোদীর সভার জন্য হেলিপ্যাড ময়দানের চেহারা বদলে দেওয়া হচ্ছে। যে মাঠে একটি হেলিপ্যাড ছিল, সেখানে আরও দুটি স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সভামঞ্চ হচ্ছে মাখনবাবুর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম প্রান্তে। ওই মঞ্চের জন্য বিশেষ হ্যাঙ্গার বসানো হবে হেলিপ্যাড মাঠে। সরকারি মঞ্চের প্রায় ৫০০ মিটার দূরে আর একটি সভামঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই মাঠটি বন্দরের আওতাধীন। তাই বন্দর-কর্তারাই সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলছেন। ৩ ফেব্রুয়ারির আগেই হেলিপ্যাড ময়দানের ভার নেবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা এসপিজি গ্রুপ। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ৪ হাজার পুলিশ আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
গত লোকসভা ভোটের আগে শেষ বার হলদিয়ায় এসেছিলেন মোদী। তাঁর সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। ওই দুই সাংসদের অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা বাড়ছে। সেই অবস্থায় দলবদলের গুজব উড়িয়ে দিব্যেন্দু জানিয়েছেন, সরকারি সভায় তিনি যাবেন। তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী লোকসভা ভোটের আগেও ওই মাঠেই সভা করেছিলেন। ওই ভোটে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এ বারও পড়বে না।’’