ফাইল চিত্র।
উদ্বেগ নয় বরং পরীক্ষা দিতে হবে উৎসবের মেজাজে। শুক্রবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে ‘পরীক্ষা পে চর্চায়’ এমনই পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে শুধু পরীক্ষা নয়, অনলাইন ও অফলাইন পড়াশোনা থেকে শুরু করে জাতীয় শিক্ষানীতির মতো বিষয়ও পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় এনেছেন তিনি। পড়ুয়ারাও প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছে। সেখানেই উঠে আসে উদ্বেগের প্রশ্ন।
এ দিন কয়েক জন পরীক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে পরীক্ষার সময় টেনশন মুক্ত থাকব?
এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘পরীক্ষা নিয়ে ভয় বা টেনশনের কিছু নেই। তোমরা কি এই প্রথম পরীক্ষায় বসছ? কোনও পরীক্ষাই তো ছোট নয়। বোর্ডের পরীক্ষা আর একটা পরীক্ষা ভেবে পরীক্ষা দাও। অষথা উদ্বেগ নয়। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে পরীক্ষা
দিতে হবে। উৎসবের মেজাজে পরীক্ষা দিতে হবে।’’
এর পরেই পড়াশোনার মাধ্যমে ঢুকে পড়েন মোদী। তাঁর মতে, অনলাইন ও অফলাইন, দুই পদ্ধতিতেই পড়াশোনা রপ্ত করতে হবে। অনলাইন পড়াশোনাকে সমস্যা ভাবলে চলবে না। এটাকে সুযোগ ভাবতে হবে। অনলাইনে পড়াশোনার ব্যপ্তি
বাড়বে আর অফলাইনে পড়াশোনার গভীরতা বাড়বে।
পড়াশোনার মাধ্যমের পরে পড়ুয়াদের সঙ্গে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এই শিক্ষা নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই অবশ্য শিক্ষাবিদদের অনেকে আপত্তি করেছেন। এই ধরনের শিক্ষা নীতি যে বিভেদ বৃদ্ধি করবে তা-ও বলেছেন অনেকে।
তবে এ দিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশিষ্টজনদের মতামত, সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করে তৈরি হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতি। একবিংশ শতাব্দীতে এই শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।