মুখোমুখি: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুনার হেমব্রম। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রমের। তাঁর দাবি, তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়গ্রাম পুর-এলাকার হাল হকিকত জানতে চেয়েছেন।
গত শুক্রবার বিভিন্ন সাংসদদের নিজের সংসদীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। সাংসদেরাও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও দাবির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তবে কুনারের কাছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম পুর-এলাকা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ায় গেরুয়া শিবির উচ্ছ্বসিত।
বিজেপি-র সূত্রের খবর, গত লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী কুনার জয়ী হওয়ার পরে এবার নজর ঝাড়গ্রাম পুরসভা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূলের ক্ষমতাসীন পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। অরণ্যশহরের নিকাশি, রাস্তা, জঞ্জাল সাফাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে পুরবাসীর একাংশের মধ্যে। কুনারের দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম শহরে বস্তি ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে কার্যত কোনও উন্নয়নই হয়নি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের বিগত পুরবোর্ডের আমলে একশো কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল দেওয়ার প্রকল্পটিও বিশ বাঁও জলে বলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছেন সাংসদ।
সাংসদ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আমার কাছে ঝাড়গ্রাম শহরের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। আমি সাধ্যমতো তথ্য জানিয়েছি। মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম শহরের নিকাশি, পাকা রাস্তা, পথবাতি ও জঞ্জাল সাফাইয়ের বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রস্তাব কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক গুলিতে জমা দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’ এ ছাড়াও শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর হাতে ১২ দফা দাবি সনদ তুলে দিয়েছেন কুনার। তাতে ঝাড়গ্রাম সংসদীয় এলাকায় কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে প্রশাসনের অসহযোগিতার কথা বলেছেন তিনি।
ঝাড়গ্রাম জেলায় কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী বন্ধন যোজনা এখনও চালু হয়নি। ওই প্রকল্পে বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল আদিবাসী-মূলবাসী মানুষদের স্বনির্ভর করার কথা। গ্রীষ্মে বেলপাহাড়ি সহ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানীয় জলের সংকটের সমাধান ও ক্ষুদ্র সেচের পরিকাঠামো গড়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবিও জানিয়েছেন সাংসদ।