প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
তামিলনাড়ুর পরে এ বার বিহার। আগামী ১৩ জানুয়ারি বিহারে সরকারি প্রকল্প শিলান্যাসের পাশাপাশি চম্পারণে রাজনৈতিক সভাও করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। যা আগামী লোকসভার প্রচারে নামার প্রাক্-প্রস্তুতি পর্ব হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
বিহারে এ বার একক ভাবে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। ওই রাজ্যের একদা জোটসঙ্গী নীতীশ কুমার এখন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম সঙ্গী। ফলে বিহারে ভাল ফল করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ দলের কাছে। এই পরিস্থিতিতে বিহারে আগামী ১৩ জানুয়ারি সড়ক, সেতু সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছেন মোদী। সূত্রের মতে, সরকারি অনুষ্ঠান ছাড়াও চম্পারণে জনসভা করতে পারেন মোদী। মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর সত্যাগ্রহ আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত চম্পারণের ওই সভাকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের শুরু হিসাবে দেখা হচ্ছে। যদিও দলের একাংশের মতে, আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। তার পরেই পুরোদমে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে দলে। তাই চম্পারণের ওই সভাকে বরং প্রচারে নামার প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে দল। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বারের নির্বাচনে চম্পারণ ছাড়াও বেগুসরাই, বেতিয়া ও ঔরঙ্গাবাদের মতো এলাকায় মোদীর রাজনৈতিক সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে লড়াইয়ে নামার পাশাপাশি সাংগঠনিক ভাবে দল লোকসভার আগে কতটা শক্তিশালী, তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গত কাল বৈঠকে বসেন বিজেপির সাতটি মোর্চার প্রধানেরা। চলতি নির্বাচনে গরিব, মহিলা, যুব ও কৃষক সমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, আসন্ন ভোটমুখী বাজেটে ওই সমাজগুলির জন্য বিশেষ ঘোষণা করার কথা ভাবছে সরকার। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে দলের সাতটি (মহিলা, যুব, কৃষক, তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি ও সংখ্যালঘু) মোর্চার অন্তত দু’টি করে সভা দেশ জুড়ে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার মধ্যে প্রতিটি মোর্চার একটি করে সভায় উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদী। সাত মোর্চার বাকি সাতটি জনসভায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডা, রাজনাথ সিংহেরা। তবে দেশের কোন প্রান্তে ওই জনসভা হবে তা এখনও ঠিক করেনি দল।