সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
নারদে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদরা আইনী রক্ষাকবচ নেবেন কিনা, তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। সোমবার সকালে আচমকাই পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে নারদ মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদরাও এ বার সিবিআইয়ের নজরে আসতে পারেন। সে কারণে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, নারদে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদরা কি এবার আইনী রক্ষাকবচ নেবেন? কারণ, নারদ মামলায় সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে যে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, বারসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের নাম রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আর যে ভাবে ২ মন্ত্রী ও ১ বিধায়ককে সিবিআই গ্রেফতার করেছে, তাতে আশঙ্কার মেঘ আরও ঘনীভূত হয়েছে। তাই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যে এ বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ করবে, সে বিষয়েই জোর জল্পনা রাজনীতির কারবারিদের মধ্যেই। এক তৃণমূল সাংসদের কথায়, ‘‘অভিযুক্তরা আগাম জামিনের আবেদন করতেই পারেন। আবেদনে বলা যেতে পারে, সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে আমার নাম রয়েছে। আমাকে সিবিআই তদন্তের স্বার্থে যত বার ডেকেছে, তখনই সহযোগিতা করেছি। আগামী দিনে আমি তদন্তের কাজে সহযোগিতা করব। আমি কোনও সাক্ষীকেই কোনও ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করব না। তাই যে কোনও শর্তেই আমাকে আগাম জামিন দেওয়া হোক। এই মর্মে আবেদন করা যেতেই পারে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে সাংসদরা অভিযুক্ত রয়েছেন বলেই দেখা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। তাই এমন পরিস্থিতিতে আগাম জামিনের আবেদন করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ বিষয়ে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তবে কোনও শর্তে আগাম জামিনের আবেদন করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত। পাল্টা তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এতে ভয় পাওয়ার কী আছে? ভয়ের কথাগুলো সংবাদমাধ্যম মনে করতেই পারে। আমরা রাজনীতি করি। তাই দু’দিনের জন্য জেলে গেলেই বা কী হবে? আমি কোনও পদক্ষেপ করছি না।’’ নারদে অভিযুক্ত আরামবাগের তৃণমূল সাংসদকে একই প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।