Firhad Hakim

Narada case: বন্দি চার নেতার শারীরিক অবস্থার উপর নিয়ত নজর চিকিৎসকদের

হাসপাতালে ভর্তি তিন নেতারই উদ্বেগজনিত কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করছে বলে জানা যাচ্ছে। মদনকে বুধবার টানা অক্সিজেন দিতে হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২১ ১০:৪৮
Share:

ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি হচ্ছে না। ফলে হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল ৪ নেতা-মন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে ৪ ওজনদার নেতার শারীরিক পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখছেন চিকিৎসকেরা। পরবর্তী শুনানি কবে তা জানানো হয়নি। শুনানি শেষ হলে তবেই জানা যাবে চার নেতা জামিন পাবেন কি না। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত তাঁদের থাকতে হচ্ছে জেল হেফাজতেই। ধৃত চার নেতার মধ্যে জেলে রয়েছেন একমাত্র রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। বাকি তিনজন— সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তিন নেতারই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি রয়েছে। তবে চার নেতা-মন্ত্রীই কোভিড নেগেটিভ। যা তাঁদের পরিবার-পরিজন এবং সহকর্মীদের কাছে স্বস্তির খবর।

প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ববির বুধবার জ্বর এসেছিল। কিন্তু তিনি হাসপাতালে যেতে চাননি। জেলেই চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর জ্বর আর নেই বলেই জেল সূত্রের খবর। রাতের স্বাভাবিক খাবার খেয়েছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন বলে খবর। তবে সুব্রত-মদন-শোভন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁরা ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসক সুজয় ঘোষের অধীনে।

Advertisement

তিনজনের মেডিক্যাল রিপোর্টই এসএকেএমের সুপার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছে। এঁদের মধ্যে সুব্রতই বয়সে প্রবীণ। তাঁর সিওপিডি-জনিত শ্বাসকষ্ট রয়েছে। ফলে তাঁর জন্য হাসপাতালের কেবিনে নেবুলাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেবুলাইজার ব্যবহারও করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, শোভন মাঝেমধ্যেই বুকে ব্যথার কথা বলছেন। তাঁর ইকো কার্ডিওগ্রাম করানো হয়েছে। তাঁরও রক্তে শর্করার চিকিৎসা চলছে। শোভনকেও নেবুলাইজার দিতে হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

হাসপাতালে ভর্তি তিন নেতারই উদ্বেগজনিত কারণে রক্তচাপ ওঠানামা করছে বলে জানা যাচ্ছে। মদনকে বুধবার টানা অক্সিজেন দিতে হয়েছে। তাঁকেও বাইপ্যাপ দিতে হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। তবে তিন নেতা-মন্ত্রীই অসুস্থতা অনেকটাই আশঙ্কা, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা জনিত বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই তাঁদের হাসপাতালে রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। শুনানির পরবর্তী তারিখ না জানানোয় চারজনই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপাতত সিবিআই হেফাজতেই। সিবিআই আদালতের দেওয়া অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ হাই কোর্ট মেনে নিলে তাঁরা স্বস্তি পাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement