ফিরহাদ হাকিম (ববি)। ফাইল চিত্র।
নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর মামলায় মঙ্গলবার বিচার ভবনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ববি), প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জা। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নারদ মামলায় চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি।
২০২২-এর এপ্রিলে পুলিশকর্তা মির্জা বিচারকের কাছে একটি হলফনামা জমা দিয়ে আবেদন করেন, বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক সাংসদ, বিধায়ক ও পুর কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই ও ইডি। কিন্তু ২০২১-এর ১৭ মে কেন শুধু ফিরহাদ, শোভন, সুব্রত ও মদনকে নারদ মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ওই দিনই সিবিআইয়ের আদালতে মির্জা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। প্রসঙ্গত, এর আগে নারদ মামলার তদন্ত চলাকালীনই মির্জাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রায় পঞ্চাশ দিনেরও বেশি সিবিআইয়ের মামলায় জেল হেফাজতে ছিলেন মির্জা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিলে বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইডির তদন্তের গতি প্রকৃতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচারকের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন মির্জা।
এ দিন বিচারক পুলিশকর্তার ওই আবেদনের শুনানির পরবর্তী দিন ২০২৩-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র। ইডির চার্জশিটে নাম থাকা পাঁচজন ছাড়া শুভেন্দু, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদ, এবং প্রাক্তন পুর কর্তা ইকবাল আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই এবং ইডি।