নারদে ইকবালের হোটেলে সিবিআই

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশন করার জন্য প্রথমে ধর্মতলার একটি তিন-তারা হোটেলে এসে উঠেছিলেন ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪১
Share:

এ বার নারদ স্টিং কাণ্ডের আঁতুড়ঘরে হানা দিল সিবিআই। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদের হোটেলে ও অফিস ঘরের ছবি তোলা হলো। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কথায়, ছবি তোলার সময়ে তাঁদের সঙ্গে ইকবাল ও তাঁর কয়েক জন সহযোগীও উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশন করার জন্য প্রথমে ধর্মতলার একটি তিন-তারা হোটেলে এসে উঠেছিলেন ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল। হোটেলের এক কমর্চারীর মারফত ইসলাম নামে এক ট্যাক্সিচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ইসলাম মারফত পরিচয় হয় টাইগার মির্জার সঙ্গে। ম্যাথুর বয়ান অনুযায়ী, টাইগারই তাঁকে ইকবালের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:ঋতব্রতের নামে এ বার দায়ের ধর্ষণের অভিযোগ

Advertisement

তদন্তকারীদের দাবি, নারদে যে ১২ জন অভিযুক্ত তার মধ্যে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, তৎকালীন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে ইকবাল মারফতই পৌঁছেছিলেন ম্যাথু। ইকবাল তাঁর দাদা, প্রয়াত সাংসদ সুলতান আহমেদের কাছে যাওয়ার সময়েও ম্যাথুর সঙ্গী হন। শুধু শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ইকবাল নিজে যাননি ম্যাথুর সঙ্গে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে নারদ অপারেশনের সময়ে ইকবালের উত্তর কলকাতার মার্কুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে ম্যাথুর সঙ্গে ইকবাল, টাইগার ও অন্যদের বৈঠক চলত। হোটলের ওই ঘর থেকেই ইকবাল ফোনে যোগাযোগ করে নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ম্যাথুকে কথা বলিয়ে দিতেন। এর পরে নিজে ম্যাথুকে নিয়ে যেতেন ওই মন্ত্রী ও নেতাদের কাছে।

ইকবালের ওই হোটেলে ম্যাথু প্রায় ২০ থেকে ২৫ দফায় বৈঠক করেছিলেন বলে তদন্তকারীদের দাবি। সম্পাদিত ফুটেজ অনুযায়ী, ম্যাথুর কাছ থেকে ইকবাল ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু অসম্পাদিত
ফুটেজ অনুযায়ী, নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য ম্যাথুর কাছ থেকে ইকবাল আলাদা করে ‘নজরানা’ নিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, ম্যাথুর কাছ থেকে ইকবাল সব মিলিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।

সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, তদন্তের প্রথম ধাপে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের বয়ান নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ম্যাথুর তোলা ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী বাস্তবিক পরিবেশ মিলিয়ে দেখতে ভিডিও তোলা হলো। আদালতে একই সঙ্গে দু’টি ফুটেজই পেশ করা হবে। ম্যাথুর সঙ্গে নানা বৈঠকের অসম্পাদিত ফুটেজে ইকবালের ঘরে নানা ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল। তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তের তৃতীয় ধাপে ঘটনার পুনর্গঠন করা হবে। সেখানে ম্যাথুর উপস্থিতি প্রয়োজন। সেই কারণে ম্যাথুকেও সমন করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement