ছবি সংগৃহীত।
বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছিল চার বছরেরও বেশি আগে, ২০১৫ সালে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে, বৃহস্পতিবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যালায়েড মেডিক্যাল অ্যান্ড প্যারা মেডিক্যাল কাউন্সিল’-এ নাম নথিভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হল। যদিও তা প্রশ্নমুক্ত হল না। সারা রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্যারা মেডিক্যাল কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, চার বছরেরও বেশি অপেক্ষা করার পরে স্টেট মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি এবং স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা পাশ করেছেন, শুধু তাঁরাই কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন বলে ঠিক হয়েছে। কিন্তু ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাজ্যের অন্য পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণেরা কবে এই সুযোগ পাবেন, প্রশ্ন তুলছেন প্যারা মেডিক্যাল কর্মীদের একাংশ।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ধাঁচে প্যারা মেডিক্যাল পেশাদারদের স্বীকৃতি দিতে একটি কাউন্সিল গড়ার জন্য বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছিল ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ল্যাবরেটরি, অপটোমেট্রি, ইসিজি, ডায়ালিসিস প্রভৃতির টেকনোলজিস্ট, ফিজিয়োথেরাপিস্ট, ডায়েটিশিয়ান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট-সহ ২৪ রকমের পদে কাজ করেন প্যারা মেডিক্যাল কর্মীরা। তাঁদের প্রশিক্ষণ ও কাজের মান খতিয়ে দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলের। ঠিক হয়, কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া প্যারা মেডিক্যাল পেশাদারেরা কাজ করতে পারবেন না। এই রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়াটিই এত দিন আটকে ছিল।
এ দিন প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বব্রত মহাপাত্র জানান, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বিদ্যাসাগর ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁরা এখন নথিভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন থেকে উত্তীর্ণদেরও একই অবস্থা। ‘‘এত দিন পরে প্রক্রিয়া চালু করে এ ভাবে তা অসম্পূর্ণ রাখা দুর্ভাগ্যজনক। যাঁরা বাদ পড়লেন, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন কবে হবে,’’ প্রশ্ন বিশ্বব্রতবাবুর। তবে দেরিতে হলেও নথিভুক্তির প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় খুশি ওই সংগঠনের যুগ্ম রাজ্য সম্পাদক শমিত মণ্ডল।
বাদ পড়া কর্মীদের উদ্বেগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলের সভাপতি, এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে সকলেই নথিভুক্তির সুযোগ পাবেন। ওয়েসবাইটে সব তথ্য দেওয়া আছে।’’