নলিনীকে এখনই গ্রেফতার নয়, জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

সারদা মামলায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের পত্নী নলিনীকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। শনিবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে তাঁকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রাজ্যের আদালতে আগাম জামিন নিতে হবে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৩
Share:

নলিনী চিদাম্বরম।—ফাইল চিত্র।

সারদা মামলায় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের পত্নী নলিনীকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। শনিবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে তাঁকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রাজ্যের আদালতে আগাম জামিন নিতে হবে।

Advertisement

সিবিআই সূত্রের খবর, নলিনীর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট এ দিন তাঁকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দিয়েছে। এগমোর আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিনের বন্ড জমা করতেও বলেছে আদালত। এর পর তাঁকে এ রাজ্যের কোনও আদালতে এসে ‘পাকা’ জামিনের আবেদন করতে হবে।

সিবিআই সূত্রের খবর, নলিনীকে চার্জশিট দিতে চেয়ে গত ৩০ জুন কলকাতা অফিস থেকে ফাইল গিয়েছিল সিবিআইয়ের তৎকালীন ডিরেক্টর অলোক বর্মার কাছে। কিন্তু তিনি অনুমতি দেননি। গত অক্টোবরে বর্মার জায়গায় এম নাগেশ্বর রাও সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী প্রধান হলেও আদালতের নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার ছিল না তাঁর। গত বৃহস্পতিবার বর্মাকে পাকাপাকি ভাবে সরিয়ে সিবিআইয়ের ভার ফের দেওয়া হয়েছে নাগশ্বরকে। আর তার পরেই নলিনীর নামে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

সিবিআইয়ের দাবি, ২০১০ সালের জুনে সারদা গোষ্ঠীর বেঙ্গল মিডিয়ার সঙ্গে মনোরঞ্জনা সিংহের পজিটিভ টিভির চুক্তি হয়। তাতে লেখা ছিল, মনোরঞ্জনার ব্যক্তিগত মামলার খরচও জোগাবে সারদা গোষ্ঠী। সিবিআই দাবি করেছে, এর পরেই নলিনীকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। কিন্তু

নলিনী প্রথম মামলা লড়েন ২০১১ সালের মাঝামাঝি। সিবিআই

কর্তাদের প্রশ্ন, এমন কোনও সংস্থা আছে কি, যারা মামলা লড়ার বছরখানেক আগেই আইনজীবীকে ফি দিয়ে দেয়! সিবিআইয়ের আরও দাবি, ২০১১ সালে কয়েকটি মামলা লড়লেও বাকি ৪১ লক্ষ টাকা ২০১২ সালে ১০টি কিস্তিতে মিটিয়েছিলেন সুদীপ্ত। সেই টাকা যখন তিনি দিচ্ছেন, তখন মনোরঞ্জনার সঙ্গে তাঁর গোলমাল চলছে। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, তা সত্ত্বেও মনোরঞ্জনার আইনজীবীকে কেন ‘ফি’ দিয়েছিলেন সুদীপ্ত? ঘটনাচক্রে পি চিদম্বরম তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সিবিআইয়ের দাবি, আসলে নলিনী সারদার হয়ে সেবি এবং আরওসি-র কর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেছিলেন। সেবির অবসরপ্রাপ্ত এক শীর্ষ কর্তা সেই সময় সারদার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, মনোরঞ্জনার আইনজীবী হলেও সুদীপ্তর ব্যবসার ‘নিরাপত্তা’ দিতেই কাজ করেছেন নলিনী। তিনি চেক বা আরটিজিএসের মাধ্যমে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা নিলেও নগদে আরও টাকা নিয়ে থাকতে পারেন বলে সিবিআইয়ের ধারণা।

তবে আগাম জামিনের আবেদনে সিবিআইয়ের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন নলিনী। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে বলেন,‘‘আইনি পরামর্শের খরচকে কখনও ঘুষ বলা যায় না। সিবিআই ষড়যন্ত্রের অসার অভিযোগ তুলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement