বগুলায় ডাকাতের হাতে আক্রান্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র

মাকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। হাঁসখালি থানার উত্তর ভায়না এলাকার ঘটনা। ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভীক সরকার নামে ওই ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৫
Share:

মাকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র। হাঁসখালি থানার উত্তর ভায়না এলাকার ঘটনা। ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভীক সরকার নামে ওই ছাত্র।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বগুলা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় অভীকদের বাড়িতে চড়াও হয় জনা তিনেক দুষ্কৃতী। অভীকের গলায় দা ধরে গয়নাগাটি-সহ দামি জিনিসপত্র বের করে দিতে বলে তারা। রাজি না হওয়ায় অভীকের মা-র মাথায় পিস্তলের ঠেকিয়ে মারধর করতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে অভীককে দা দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। তার দু’হাতে আঘাত লাগে। সে সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসতে শুরু করলে রণে ভঙ্গ দিয়ে পালায় তিন দুষ্কৃতী।

অভীককে প্রথমে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভীক বলে, “আমি পড়তে বসেছিলাম। দরজার গ্রিলে শব্দ হওয়ায় বেরিয়ে দেখতে যাই। সে সময় ঘরে ঢুকে পড়ে তিন জন। ওরা হিন্দিতে কথা বলছিল। মাকে মারতে গিয়েছিল, আমি বাধা দেওয়ায় আমাকে কোপায়।”

অভীকের বাবা অরুণ সরকার কর্মসূত্রে সারা সপ্তাহ থাকেন বহরমপুরে। শনি, রবিবার বাড়ি ফেরেন। তাঁর অভিযোগ, “আগে থেকে সব খবর নিয়েই দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছিল। বাড়িতে আমার স্ত্রী ও ছেলে একা থাকে এটা ওরা জানত।”

তবে শুধুই ডাকাতির উদ্দেশেই দুষ্কৃতীরা হানা দিয়েছিল না কি অন্য কোনও কারণ ছিল, সে বিষয়ে নিঃসংশয় নয় পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। হামলার প্রকৃত কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কিন্তু ভর সন্ধেবেলা জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। গত এক বছরে বগুলা কলেজ সংলগ্ন ওই এলাকায় একাধিক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে লুঠপাঠকে কেন্দ্র করে। গভীর রাতে হানা দিয়ে এক মাঝবয়সী মহিলা ও তার পরিচারিকার মেয়েকে নৃশংস ভাবে কোপায় দুষ্কৃতীরা। শেষ পর্যন্ত ওই মহিলা প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা গিয়েছিলেন প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রী। একই ভাবে গভীর রাতে হানা দিয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে কুপিয়ে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। আবার ওই এলাকারই এক বৃদ্ধাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এছাড়াও এই বগুলাতেই এক নৈশ্য প্রহরীকে খুন করে একটি সোনার গহনার দোকানে লুঠপাট চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, আগের ঘটনাগুলি বেশিরভাগই ঘটেছিল গভীর রাতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে তা একেবারে ভর সন্ধেবেলায়। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তাঁদের অভিযোগ, বগুলা এলাকায় একের পর এক চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ সে সব অপরাধের কিনারা করতে পারছে না। ফলে সাহস বাড়ছ দুষ্কৃতীদের। বাড়ছে অপরাধ প্রবণতাও।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, “ওই এলাকায় যাতে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত যাতে বন্ধ হয় তার জন্য উদ্যোগী হচ্ছে প্রশাসন। আশাকরি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান

সম্ভব হবে।” মূর্তি উন্মোচন। শুক্রবার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জন্ম দিবস উপলক্ষ্যে নাকাশিপাড়ার সোনাডাঙা হাই স্কুলে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিনই নেতাজীর পূর্ণ আবক্ষ মূর্তিও বসানো হয় স্কুলে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই মূর্তি বসানো হয়েছে। একটি সংস্থা ওই টাকা দিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement